গৃহকর্তাকে পেটানোর মামলায় স্ত্রী-শ্বশুরসহ ৮ জন গ্রেপ্তার

হাতকড়া
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও এলাকার প্রবাসী মঞ্জুর আলমকে (৪৫) তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরের অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজনের ভাষ্য, মঞ্জুরকে গতকাল শুক্রবার তাঁর স্ত্রী রুনা আকতার, শ্বশুর–শাশুড়ি, শ্যালক–শ্যালিকাসহ ৯ জন মারধর করেন। তাঁকে মারধরের এই চিত্র মুঠোফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন এলাকার এক যুবক। গতকাল এই ভিডিও জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নজরে আসে। এরপর ঈদগাঁও থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মঞ্জুর আলমকে উদ্ধার করে এবং মারধরের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আটজনকে আটক করে।

ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম প্রথম আলোকে বলেন, প্রবাসীর পাঠানো টাকা ও সম্পদ কুক্ষিগত করতে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। গতকাল রাতে থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আহত প্রবাসীর বড় ভাই বদিউল আলম। আটক আটজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শনিবার সকালে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। আহত গৃহকর্তাকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, মঞ্জুর আলম দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। সেখানে যা আয় করেছেন, তা বাংলাদেশে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী রুনা আকতারের নামে পাঠাতেন। স্ত্রী নিজের নামে জমি কিনেছেন। সেখানে বহুতল ভবন বানিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে সম্প্রতি ছুটিতে আসেন মঞ্জুর আলম। এরই মধ্যে পাঠানো টাকা ও সম্পদ নিয়ে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়ে দূরত্ব বাড়তে থাকে।