গৃহকর্মী মারাত্মক জখম, গৃহকর্ত্রী কারাগারে

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের ঘটনায় গৃহকর্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পিঠে, গলায় ও হাতে মারাত্মক জখম নিয়ে শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গ্রেপ্তার গৃহকর্ত্রীর নাম মাসুমা বিনতে মঈন। শের শাহ সুরী সড়কে তাঁর বাসা।

মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক শফিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, মাসুমা গত শুক্রবার মোহাম্মদপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করতে আসেন। তিনি জানান, তাঁর বাসার গৃহকর্মী হারিয়ে গেছে। ওই সময়ই থানায় শিশুটির মা হাজির হন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তাঁর অতটুকু মেয়ে কখনই পালিয়ে যেতে পারে না। সে পালাতে বাধ্য হয়েছে। সাত মাস ধরে তাঁর সঙ্গে মেয়েকে দেখাও করতে দিচ্ছিলেন না গৃহকর্ত্রী। যদিও তিনি মোহাম্মদপুরেই থাকেন।

শিশুটির মা আরও অভিযোগ করেন, গৃহকর্ত্রী তাঁর মেয়েকে নির্যাতন করেন।

জানা গেছে, পরে খোঁজখবর নিয়ে পুলিশ জানতে পারে শিশুটি ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় চলে গেছে তার মামার বাড়িতে। এরপর তারা শিশুটিকে সেখান থেকে নিয়ে আসে।

নিখোঁজ ডায়েরির তদন্ত কর্মকর্তা শফিউল আলম প্রথম আলোকে আরও বলেন, শিশুটির পিঠে চামড়া নেই। ছ্যাঁকার দাগ তো আছেই, গরম পানি পিঠে ঢালায় মাংস বেরিয়ে এসেছে। তার হাত, গলাসহ দেহের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন। শিশুটিকে শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকায় নিয়ে আসার পর, গৃহকর্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার আদালতে উপস্থাপনের পর মাসুমা বিনতে মঈনকে কারাগারে পাঠানো হয়।