গোপালগঞ্জের শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন হাসপাতালে ভর্তি
গোপালগঞ্জ সদরের জালালাবাদ ইউনিয়নের বড়ফা গ্রামের ১০ বছরের শিশু লিয়া ঢাকায় গিয়েছিল গৃহকর্মীর কাজে। তাকে সেখানে গুঁড়া দুধ চুরি করে খাওয়ার অপবাদ দিয়ে মারধর ও শরীরে খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে দাঁত।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বড়ফা গ্রামের রহমান মীনার মেয়ে লিয়াকে ছয় মাস আগে একই গ্রামের শাহাবুদ্দিন মীনা ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় তাঁর মেয়ে তিম্মির বাসায় কাজের জন্য নিয়ে যান।
১০ অক্টোবর শ্বশুর শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে লিয়াকে ফেরত দিয়ে যায় তিম্মির স্বামী নজরুল ইসলাম। ১৫ অক্টোবর শাহাবুদ্দিনের বাড়ির লোকজন লিয়াকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়। শরীরের অবস্থা খারাপ দেখে ১৬ অক্টোবর তারা লিয়াকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি।
লিয়া বলে, কাজে সামান্য ত্রুটি হলেই গৃহকর্ত্রী তিম্মি বেগম তার ওপর নির্যাতন চালাতেন। ঘরের গুঁড়া দুধ গৃহকর্তার বড় মেয়ে খেয়ে দোষ চাপায় লিয়ার ওপর। তখনই চুরির অপবাদ দিয়ে লিয়াকে মারধর করতেন তিম্মি বেগম। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে মুখে আঘাত করে দাঁত ভেঙে দেওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক ফারুখ আহমেদ বলেন, লিয়ার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।
এ ব্যাপারে নজরুলের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। শাহাবুদ্দিনের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। লিয়ার মা মর্জিনা বেগম বলেন, এ ব্যাপারে গত শুক্রবার থানায় অভিযোগ করেছেন। সদর থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন, ঘটনা যেহেতু ঢাকায় হয়েছে সে জন্য তাদের সঠিক বিচার পেতে হলে ঢাকার খিলগাঁও থানায় অভিযোগ দিতে হবে।