চট্টগ্রামে এক জঙ্গির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

রায় ঘোষণার আগে রাকিবুলকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। রায় ঘোষণার পর তাঁকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে রাকিবুলসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে উদ্ধার হয় ১০টি গ্রেনেড ও ২টি সুইসাইডাল ভেস্ট (আত্মঘাতী বন্ধনী)।

মামলায় বলা হয়, নব্য জেএমবির সদস্য রাকিবুল ও তাঁর সহযোগী (শিশু) গ্রেপ্তার হওয়ার দুই মাস আগে চট্টগ্রামে আসেন। তাঁরা সদরঘাট থানা ভবনে হামলার পরিকল্পনা করেন। তাঁদের কাছ থেকে কাগজে আঁকা দুটি ছক উদ্ধার করা হয়।পুলিশের মনোবল ভাঙতে নব্য জেএমবি হামলার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে থানাকে বেছে নেয়।

এই ঘটনায় সদরঘাট থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) তৎকালীন পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি নব্য জেএমবির সদস্য। তাঁরা জামালপুর ও শেরপুরে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। অ্যাপসের মাধ্যমে তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। পরিবারের সঙ্গে তাঁদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশের ওপর হামলার লক্ষ্য ছিল তাঁদের। আত্মঘাতী হামলার জন্য তাঁরা প্রস্তুত ছিলেন।