ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মী রাসেল খানের তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর

নাঈম হাসান
সংগৃহীত ছবি

নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানকে চাপা দেওয়া গাড়ির চালক ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মী রাসেল খানের তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন। আজ বৃহস্পতিবার পল্টন থানা-পুলিশ রাসেল খানকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক মোতালেব হোসেন প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানান।

এর আগে সড়ক পরিবহন আইনে শিক্ষার্থী নাঈম হাসানের বাবা শাহ আলম মামলা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বুধবার রাসেল খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পল্টন থানা-পুলিশ আদালতে বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পরিচ্ছন্নতাকর্মী রাসেল খান চালক নন। তাঁর বৈধ লাইসেন্স নেই। গাড়িটির চালক হারুন অর রশিদ। বদলি হিসেবে রাসেল খান গাড়ি চালাচ্ছিলেন।

ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের বাসা থেকে আরামবাগের নটর ডেম কলেজে যাওয়ার পথে গতকাল গুলিস্তানে রাস্তা পার হওয়ার সময় ডিএসসিসি ময়লার গাড়ির চাপায় মৃত্যু হয় নাঈম হাসানের। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গুলিস্তান হল মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, হল মার্কেট মোড়ে বায়তুল মোকাররমগামী দক্ষিণ সিটির একটি ময়লার গাড়ি (কমপেক্টর) মোড় ঘুরে নাঈমকে প্রথমে ধাক্কা দেয়। এতে সে পড়ে যায়। এরপর গাড়িটি না থেমে তাকে চাপা দেয়।

গুরুতর আহত নাঈমকে পুলিশ ও পথচারীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পরই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। নাঈমের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার সহপাঠীরা গুলিস্তান মোড়ে এসে জড়ো হয়। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যায় নগর ভবনে। পরে আবার গুলিস্তান মোড়ে গিয়ে তারা সড়ক অবরোধ করে। বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনার ন্যায়বিচার, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করাসহ ছয় দফা দাবি তুলে ধরে।