ডিবি পুলিশ পরিচয়ে প্রবাসীর মালামাল লুট, গ্রেপ্তার ৫

গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিচয়ে এক প্রবাসীর মালামাল লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার ও গতকাল রোববার চট্টগ্রাম নগর এবং জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা হলেন দিদারুল আলম, আবদুল আওয়াল, রিয়াজ উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী ও ফয়সাল আহমেদ।

গত ২০ নভেম্বর চট্টগ্রামের হাটহাজারীর চারিয়া গ্রামের দুবাইপ্রবাসী মো. কিবরিয়া তাঁর দোকানের কর্মচারী রিয়াজ উদ্দিনের মাধ্যমে পরিবারের জন্য কিছু মালামাল দেশে পাঠান। রিয়াজকে বিমানবন্দর থেকে আনতে যান কিবরিয়ার ভাই সামুনুল হক। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁরা সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে গ্রামের বাড়ি হাটহাজারী ফিরছিলেন। ওই দিন সকাল নয়টার দিকে বন্দর থানার ফকিরহাট এলাকায় একটি দোকানে তাঁরা গাড়ি থেকে নাশতা করতে নামেন। এ সময় ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে পাঁচ ব্যক্তি তাঁদের কাছে অবৈধ মালামাল আছে দাবি করে ডিবি অফিসে নেওয়ার কথা বলে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেন।

পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক (জনসংযোগ) সন্তোষ কুমার চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, দুজনকে তুলে নেওয়ার আড়াই ঘণ্টা পর তাঁদের মারধর করে হালিশহর থানার সাগরিকা মোড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় ডিবি পরিচয় দেওয়া লোকেরা। তাঁদের কাছ থেকে বিদেশ থেকে আনা ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, মুঠোফোন, ল্যাপটপসহ অন্য মালামাল নিয়ে যান তাঁরা। এই ঘটনায় গত শুক্রবার বন্দর থানায় প্রবাসী কিবরিয়ার ছোট ভাই আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর গত শনিবার রাত থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত নগরের পাহাড়তলী, আকবর শাহ ও হাটহাজারীতে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে লুট করা ল্যাপটপ, মুঠোফোন ও দুটি স্বর্ণের চেইন উদ্ধার করা হয়।

সন্তোষ চাকমা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেন প্রবাসী কিবরিয়ার দোকান কর্মচারী রিয়াজের পরিকল্পনায় এ ঘটনা ঘটানো হয়। রিয়াজ তাঁর পূর্বপরিচিত ফয়সালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ফয়সাল অন্যদের নিয়ে ডিবি পুলিশের দল সাজিয়ে মালামাল ছিনিয়ে নেন। পরে তাঁরা মালামালগুলো বিক্রি করে দেন। গ্রেপ্তার রিয়াজ চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও শিবির ক্যাডার নামে পরিচিত নাছির উদ্দিন চৌধুরীর ছোট ভাই। নাছিরের বিরুদ্ধে ১৯ মামলা বিচারাধীন রয়েছে।