নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান চান নাজমা আক্তার
মালয়েশিয়াফেরত নাজিম উদ্দিন (৪২) দেড় মাস থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গত ২৫ মে রাজধানীর ভাটারা থেকে মিরপুর যাওয়ার পথে কে বা কারা তাঁকে ধরে নিয়ে গেছে।
স্বামীর সন্ধান চেয়ে গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নাজমা আক্তার। এ সময় তাঁর সঙ্গে তাঁর দুই মেয়ে ছিল। নাজমা বলেন, নাজিম উদ্দিন মালয়েশিয়ায় থাকতেন। ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে (রমজানের সময়) তিনি তাঁদের গ্রামের বাড়ি যশোরের মনিরামপুরে আসেন। পাঁচ-ছয় মাস আগে তিনি চাকরির সন্ধানে ঢাকা আসেন। ঢাকায় এসে তিনি ভাটারায় এক বন্ধুর বাসায় ওঠেন। এ বাসায় থেকেই তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার বিভাগে চাকরি শুরু করেন। দুই মাস চাকরি করার পর মিরপুরের সৈয়দ গাউছুল আজম নামে তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে তিনি চাকরিটি ছেড়ে দেন এবং আবার যশোরে চলে আসেন। গত ১৮ মে তিনি ব্যবসার উদ্দেশ্যে যশোর থেকে ঢাকায় আসেন। এ সময় তিনি ভাটারায় তাঁর বন্ধুর বাসায় ওঠেন। এরপর গত ২৫ মে গাউছুল আজম মুঠোফোনে নাজিম উদ্দিনকে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় আসতে বলেন। গাউছুল আজমের কথামতো নাজিম উদ্দিন মিরপুরের উদ্দেশে রওনা করেন। পথে সাদাপোশাকধারী কয়েকজন নাজিম উদ্দিনকে অপহরণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘নিখোঁজের ঘটনায় গাউছুল আজমের হাত থাকতে পারে বলে আমরা সন্দেহ করছি।’ পরে গাউছুল আজমের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল কি না, জানতে চাইলে নাজমা আক্তার বলেন, গাউছুল আজম এখন মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। তাই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে ২৮ মে ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক আবদুল ওয়ারেছ বলেন, নাজমা আক্তারের অভিযোগ অনুযায়ী নিখোঁজ নাজিম উদ্দিনের মুঠোফোনের ‘কললিস্ট’ ধরে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, ঘটনার দিন সকালে নাজিম উদ্দিন ভাটারার বাসা থেকে বের হন এবং নয়টার দিকে মিরপুরে যান। সেখানে তিনি চার-পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তিনি পল্লবীর ১২ নম্বরের সেকশনে যান। সেখান থেকে তিনি নিখোঁজ হন। ওয়ারেছ বলেন, নাজিম উদ্দিন পল্লবী থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। তাই পরবর্তী পুলিশি কার্যক্রম পল্লবী থানা-পুলিশ করবে। পল্লবী থানার ওসি দাদন ফকির বলেন, নাজিম উদ্দিন পল্লবী থেকে নিখোঁজ হয়েছেন, এমন কোনো প্রমাণ নেই। তাই ভাটারা থানাকে এর দায়দায়িত্ব নিতে হবে।