পটুয়াখালীতে শ্রমিক লীগ নেতার হাতের কবজি কেটে নিল দুর্বৃত্তরা

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি মো. জুয়েল প্যাদার (৩৫) বাঁ হাতের কবজি কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রমুখী ছয় লেন সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কলাপাড়া থানা–পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গতকাল বুধবার রাত আড়াইটার দিকে দুজনকে আটক করেছে।

আটক দুজন হলেন বশির চৌকিদার ও সোহেল হাওলাদার। তাঁদের গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের পূজাখোলা গ্রাম থেকে আটক করা হয়।

জুয়েল প্যাদার বড় ভাই ও টিয়াখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. খোকন প্যাদা বলেন, জুয়েল কলাপাড়া পৌর শহর থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। টিয়াখালী ইউনিয়নের ছয় লেন সড়ক এলাকায় হাসন আলী হাওলাদারের বাড়ির কাছে গিয়ে তিনি মোটরসাইকেল থেকে নামেন। এরপর তিনি বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় ৯ থেকে ১০ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত অতর্কিতে তাঁর ওপর হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর বাঁ হাতের কবজি কেটে ফেলে। তাঁর চিৎকার শুনে লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

খোকন প্যাদার ভাষ্য, ছয় লেন সড়ক ও পূর্ব টিয়াখালীর নির্মাণাধীন আবাসনের বালু সরবরাহসহ বেশ কিছু ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে জুয়েল প্যাদা যুক্ত আছেন। এ নিয়ে একটি পক্ষের সঙ্গে তাঁর বিরোধ আছে।

জুয়েল প্যাদার বাবার নাম মো. ফারুক প্যাদা। তাঁর বাবা টিয়াখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ইউপি সদস্য ছিলেন। তাঁদের বাড়ি টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম টিয়াখালী গ্রামে।

কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপসহ আঘাতের চিহ্ন আছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাঁকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জুয়েলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে তাঁকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ইতিমধ্যে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।