পদোন্নতি না পাওয়ায় সহকর্মীকে খুন করেন শামীম: সিআইডি

খুন
প্রতীকী ছবি

ঢাকার অদূরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগরে একটি কারখানায় মেশিন অপারেটর হিসেবে কাজ করত রমজান মিয়া (১৪)। শামীম মিয়া নামের একজন তার সঙ্গে কাজ করলেও তিনি মেশিন অপারেটর হতে পারেননি। এতে রমজানের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শামীম (২০)। এর জের ধরে দুই সহযোগীকে নিয়ে রমজানকে উপর্যুপরি ছুরি মেরে খুন করেন শামীম। গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এ ঘটনায় শরীয়তপুরের জাজিরা থানার স্বরূপ বাবুরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শামীমকে গ্রেপ্তার করে।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সিআইডি। এ সময় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে শামীম সিআইডি কর্মকর্তাদের বলেছেন, ছয় মাস ধরে রমজান আগানগরের আলীমউল্লাহ মার্কেটের ষষ্ঠ তলায় রতন মাতুব্বরের মালিকানার ‘রাফিয়া থ্রেড ফ্যাক্টরি’তে মেশিন অপারেটর হিসেবে কাজ করত। ওই কারখানায় তার সঙ্গে কাজ করতেন শামীম। দক্ষতা অর্জন করায় কিছুদিনের মধ্যেই রমজান মেশিন অপারেটর হিসেবে পদোন্নতি পায়। পদোন্নতি না পাওয়ায় রমজানের ওপর ক্ষুব্ধ হন শামীম।


মুক্তা ধর বলেন, রমজানকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য শামীম পরিকল্পনা করেন। ৬ জুন রাতে জরুরি কথা আছে বলে রমজানকে ডেকে কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চর কুতুব কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসংলগ্ন নতুন ব্রিজের কাছে নিয়ে যান। কথাবার্তার একপর্যায়ে শামীম ও তাঁর দুই সহযোগী রমজানকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।

সিআইডি জানায়, রক্তাক্ত অবস্থায় রমজানকে পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৩ জুন ভোরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমজান মারা যায়।


এ ঘটনায় শামীসহ অজ্ঞাতপরিচয় দু-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত রমজানের ভাই মো. সাকিল। এরপর সিআইডি ওই হত্যা মামলার ছায়া তদন্ত করে।
সিআইডি বলেছে, শামীম হত্যা মামলার প্রধান আসামি। তাঁর দুই সহযোগীকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।