পি কে হালদারের মামলার তদন্ত ও পরোয়ানার অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

বিদেশে পলাতক থাকা রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার তদন্ত ও তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইন্টারপোলের কাছে পাঠানোর অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ও গ্রেপ্তারে পদক্ষেপের অগ্রগতিবিষয়ক শুনানিতে আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরবর্তী শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি দিন রেখেছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ওই বিষয়ে অগ্রগতি জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এ দিকে পি কে হালদারের সাবেক সহকর্মী ও পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও পি কে হালদারের স্বজন ও পিপলস লিজিংয়ের সাবেক পরিচালক অমিতাভ অধিকারী বিবাদী হিসেবে ওই মামলায় পক্ষভুক্ত হয়েছেন। পক্ষভুক্ত হতে তাঁদের করা পৃথক আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

১৮ নভেম্বর ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শিরোনামে একটি দৈনিকে ওই প্রতিবেদন ছাপা হয়। এই বিষয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে ১৯ নভেম্বর একই বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুল দিয়ে পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ও গ্রেপ্তারে পদক্ষেপ বিষয়ে লিখিতভাবে দুদক চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের জানাতে বলেন। এর ধারাবাহিকতায় দুদকের করা মামলার এজাহার ও সম্পত্তি-অর্থ জব্দের আদেশ এবং বিচারিক আদালতে পি কে হালদারের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বিষয়ে আজ প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক। অমিতাভ অধিকারীর পক্ষে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও উজ্জ্বল নন্দীর পক্ষে আইনজীবী মোশাররফ হোসেন শুনানিতে ছিলেন।