বাগেরহাটে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ১

বাগেরহাটে গত শনিবার রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি জানিয়ে পুলিশ বলেছে, তিনি জেএমবির সদস্য হতে পারেন।

তবে বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি পালপাড়া এলাকানিবাসী সরদার আশরাফ হোসেন লাশ দেখার পর দাবি করেছেন, নিহত ব্যক্তি তাঁর ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন (৪২)। দেড় মাস আগে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল সাদাপোশাকের পুলিশ।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান খানের ভাষ্য অনুযায়ী, সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নে বাগেরহাট-খুলনা সড়কের রসুলপুর সেতুর কাছে শনিবার গভীর রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও মডেল থানা-পুলিশের একটি যৌথ দলের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় জানান, পুলিশ জেএমবি সদস্যদের নাশকতার পরিকল্পনার খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে গিয়েছিল। নিহত ব্যক্তি জেএমবির সদস্য হতে পারেন।

শহরের বাসাবাটি পালপাড়ার সরদার আশরাফ হোসেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশ দেখার পর দাবি করেন, লাশটি তাঁর ছেলে আল মামুনের। তিনি সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে ঠিকাদারি করতেন। ঢাকায় তাঁর আবাসন ব্যবসা ছিল। তিনি বিবাহিত এবং তাঁর আড়াই বছরের একটি মেয়ে আছে।

আশরাফ অভিযোগ করেন, গত ১১ অক্টোবর দুপুরে সাদাপোশাকের পুলিশ মামুনকে বাড়ি থেকে মুঠোফোনে ডেকে বাইরে নিয়ে আটক করে।

তবে পুলিম সুপার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, লাশটি আল মামুনের কি না তা তাঁরা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি। পরিচয় উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করছে পুলিশ। আর মামুনকে সাদাপোশাকের পুলিশের তুলে নেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, এ অভিযোগ সত্য নয়।