বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষে আহত তরুণের মৃত্যু

দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে বিজিবির সদস্য ও চোরাকারবারিদের মধ্যে গত রোববারের সংঘর্ষে আহত সাইয়ান ইসলাম (১৯) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার ভোরে মারা যান তিনি।
সাইয়ানের মৃত্যুর খবরে বিক্ষুব্ধ জনতা গতকাল সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের বিচার এবং বিজিবির হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
সাইয়ানের ভাই সাকিরুল ইসলাম, নানা মকসেদ আলীসহ কয়েকজন অভিযোগ করেন, রোববার ভোরে সাইয়ান তাঁর বাড়ির সীমান্ত থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে পৌর শহরের ফকিরপাড়া (ধরন্দা) মহল্লায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় বিজিবি সদস্যরা তাঁকে চোরাকারবারি মনে করে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা হাতে থাকা চায়নিজ কুড়াল দিয়ে সাইয়ানের মাথায় কোপ মারেন। পরে তাঁর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে বিজিবি সদস্যরা চলে যান। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় সাইয়ানকে প্রথমে হাকিমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গতকাল ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
সাইয়ানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী লাঠি নিয়ে বিরামপুর-হাকিমপুর সড়ক অবরোধ করেন। তাঁরা দোষী বিজিবি সদস্যদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, বিজিবি সদস্যরা আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও সঙ্গে বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র রাখে। চোরাকারবারি ধরার নামে তাঁরা এলাকাবাসীকে ওই অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে বাসাবাড়িতে প্রবেশ করেন। কেউ প্রতিবাদ করলে আটক করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন।
৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর নাসির ইমাম রুমি জানান, বিজিবি কখনোই ধারালো অস্ত্র বহন করে না। আগ্নেয়াস্ত্রের সঙ্গে অনেক সময় লাঠি রাখে। এ ছাড়া এলাকাবাসীকে হয়রানির অভিযোগটি ঢালাও বলে দাবি করেন তিনি।
হাকিমপুর থানার ওসি) মোখলেছুর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।