বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ভাঙচুর করেছে 'টাঙ্গাইলের বাবারা'
![মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই মাইক্রোবাসটি ভাঙচুর করে একদল যুবক। টাঙ্গাইল, ৪ জুলাই। ছবি: সংগৃহীত](https://images.prothomalo.com/prothomalo%2Fimport%2Fmedia%2F2018%2F07%2F04%2Fdd96c09db9b9634fb8160b411e3892c7-5b3cea0cc2028.jpg?auto=format%2Ccompress)
পছন্দের ব্যক্তিদের চাকরি পেতে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবাস ভাঙচুর করেছে একদল যুবক। এ সময় তাঁরা নিজেদের ‘টাঙ্গাইলের বাবা’ বলে মোবাইলে উপাচার্যের কাছে নিজেদের পরিচয় দেন।
আজ বুধবার বিকেল তিনটার দিকে ক্যাম্পাসের বাইরে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে থানায় একটি মামলা করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, ক্যাম্পাসে কিছু পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গত কয়েক দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিস, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট ও হাউস টিউটর অফিসে তালা ঝুলিয়ে রেখেছিল। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আজ বুধবার তারা তালা খুলে দেয়। এরপর এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জানান, টেক্সটাইল প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুনকে নিয়ে টাঙ্গাইল শহর থেকে ওই মাইক্রোবাসটি ক্যাম্পাসে যাচ্ছিল। কাগমারী সরকারি এমএম আলী কলেজের মোড়ে পৌঁছালে বিকেল তিনটার দিকে একদল যুবক মাইক্রোবাসটি থামাতে বাধ্য করে। পরে তাঁরা আবদুল্লাহ আল মামুনকে দিয়ে উপাচার্য মো. আলাউদ্দিনকে ফোন দিতে বাধ্য করেন। তাঁদের সুপারিশ মতো স্থানীয় লোকদের কেন চাকরি হয় না—এমন কৈফিয়ত চেয়ে ফোনে তারা উপাচার্যকে গালাগালি করেন। এ সময় উপাচার্য তাঁদের পরিচয় জানতে চাইলে তাঁরা নিজেদের ‘টাঙ্গাইলের বাবা’ বলে পরিচয় দেন। পাশাপাশি তাঁদের সুপারিশ মতো চাকরি না হলে ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা আরও ঘটবে বলে উপাচার্যকে হুমকি দেন। পরে তাঁরা মাইক্রোবাসটি ভাঙচুর করেন। এ সময় ওই মাইক্রোবাসের চালক সুমন মিয়া আহত হন।
![ভাঙচুর হওয়া মাইক্রোবাসের সামনের অংশ। হামলায় এর চালকও আহত হন। টাঙ্গাইল, ৪ জুলাই। ছবি: সংগৃহীত](https://images.prothomalo.com/prothomalo%2Fimport%2Fmedia%2F2018%2F07%2F04%2F73177702779c5d343ab7a1e2a0382ebb-5b3cea0cc1406.jpg?auto=format%2Ccompress)
উপাচার্য মো. আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে জানান, ভাঙচুরকারীদের একজন নিজেদের ‘টাঙ্গাইলের বাবা’ পরিচয় দিয়ে বলে, “টাঙ্গাইলে থাকস, টাঙ্গাইলের বাপ চিনস না। তদবির করলে চাকরি দেস না। ” উপাচার্য মনে করেন, যারা চাকরি দেওয়ার জন্য তদবির করেন, তারা এই ভাঙচুরকারীদের পেছনে আছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে রেজিস্ট্রার তৌহিদুল ইসলাম ঘটনার বিবরণ দিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।