লালবাগে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
পুরান ঢাকার শহীদনগরে নুরুননাহার (২৫) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর স্বামী নুরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুরের পুবাইল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইব্রাহীম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ঢাকা বিমানবন্দর থানা এলাকায় মাথাবিহীন অবস্থায় উদ্ধার নারীর পরিচয় গতকাল পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গত বুধবার সন্ধ্যায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনাল ফটকের উল্টো দিকের সীমানাদেয়ালের পাশ থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় এই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রায় একই সময়ে লালবাগ থানাধীন শহীদনগরের ৪ নম্বর গলির একটি টিনশেড বাড়ির কক্ষে নুরুননাহারের মরদেহ পাওয়া যায়। এই কক্ষেই স্বামী নুরে আলমের সঙ্গে থাকতেন নুরুননাহার। তাঁদের চার বছর বয়সী এক ছেলে ও ছয় মাস বয়সী এক মেয়ে আছে। নুরে আলম একটি কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরি করেন।
লালবাগ থানার পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন নুরে আলম। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। এর জের ধরে নুরে আলম স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছেন বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। নুরুননাহারের লাশ উদ্ধারের সময় দড়ি দিয়ে হাত-পা ও কোমরে শিল-পাটা বাঁধা ছিল। স্কচটেপ লাগানো ছিল মুখে।
নুরুননাহারের ভাই আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে লালবাগ থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় নুরে আলমকে আসামি করা হয়।
ডিসি ইব্রাহীম খান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নুরে আলম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে।
এদিকে বস্তাবন্দী অবস্থায় নারীর লাশ উদ্ধার সম্পর্কে জানতে চাইলে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছে। কিন্তু মৃতদেহটি মাথাবিহীন হওয়ায় তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি। মাথাও পাওয়া যায়নি।