শিক্ষার্থীর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত, শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা
![শিক্ষকের বেত্রাঘাতে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সম্পা তার বাঁ চোখ হারাতে বসেছে। মঙ্গলবার সকালে ওই ছাত্রীর বাসায় ছবিটি তোলা। ছবি: অজয় কুন্ডু](https://images.prothomalo.com/prothomalo%2Fimport%2Fmedia%2F2018%2F07%2F04%2Feb619b4a685c4dd1ad84f48e29bc54c4-5b3cfc437baea.jpg?auto=format%2Ccompress)
মাদারীপুরে বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থীর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা দিল আফরোজকে (৪০) আসামি করে মামলা হয়েছে।
বুধবার রাত ৮টার দিকে সদর মডেল থানায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এর আগে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করে জেলা শিক্ষা অফিস।
আহত সম্পা খানম (১১) শহরের পানিছত্র এলাকার সিরাজুল হক হাওলাদারের মেয়ে ও দরগাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। তাকে গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ঢাকা ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার প্রথম আলোর অনলাইনে ‘শিক্ষকের বেত্রাঘাতে চোখ হারাতে বসেছে ফুটফুটে মেয়েটি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
মঙ্গলবার সম্পার সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। তখন সে জানায়, গত সোমবার মধ্যাহ্নের বিরতির পর শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নিতে প্রবেশ করেন শিক্ষিকা দিল আফরোজ। এ সময় উপস্থিত থাকা শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে শিক্ষিকাকে সম্মান প্রদর্শন করে। কিন্তু একপর্যায়ে সম্পা দুষ্টুমি বসত হেসে ফেলে ও হাতে তালি দেয়। এতে দিল আফরোজ ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেত্রাঘাত করেন। যার একটি আঘাত সম্পার বাম চোখে লাগে। পরে গুরুতর অবস্থায় সহপাঠীরা তাকে বাসায় নিয়ে আসে। সেখান থেকে পরিবারের লোকজন প্রথমে মাদারীপুর চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. ইসতিয়াক আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ওই শিক্ষিকাকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।’
বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত সম্পার বাবা সিরাজুল হক হাওলাদার মোবাইলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার মেয়েকে নিয়ে আমি খুব দুশ্চিন্তায় আছি। ডাক্তাররা ঠিক করে আমাকে কিছুই বলছে না। কি করব বুঝতে পারছি না। চিকিৎসকেরা ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছে।’