শ্রীবরদীতে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর, আটক ৩

শেরপুরের শ্রীবরদী পৌর শহরের শ্মশানঘাট কালীমাতার মন্দিরের নয়টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে একদল দুর্বৃত্ত। গতকাল বুধবার এই ঘটনা ঘটে। এই সময় দুর্বৃত্তরা মন্দিরের ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। তাঁরা হলেন শ্রীবরদী পৌর শহরের দহেরপাড় এলাকার আবুল হোসেন (২৮), নাইফুল ইসলাম (২০) ও মো. মোস্তফা (১৮)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোরে দুর্বৃত্তরা তালা ভেঙে মন্দিরে ঢুকে কালী, মহাদেব, ত্রিনাথ ও শীতলা মাতা এবং রাজা হরিশ চন্দ্রের বিগ্রহসহ নয়টি প্রতিমা ভাঙচুর করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা মন্দিরের কাঁসার বাসনপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায়।
উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শ্রীবরদী পৌর শহরের দহেরপাড় এলাকায় ১ একর ১০ শতাংশ জমির ওপর হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশানঘাট। শ্মশানঘাটসংলগ্ন এলাকার আবুল হোসেন কয়েক বছর আগে জোর করে শ্মশানের ১৫ শতাংশ জমি দখলে নিয়ে সেখানে মাছ চাষ শুরু করেন।
উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাস ও শ্মশানঘাট মন্দির কমিটির সভাপতি হারু সাহা অভিযোগ করে বলেন, আবুল হোসেন মন্দিরের জায়গা দখল করে মাছ চাষ করেন। তিনি সেখানে নৈশপ্রহরী রেখেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নৈশপ্রহরীর সহায়তায় আজ (গতকাল) ভোর রাতে প্রতিমা ভাঙচুর ও বাসনপত্র চুরির ঘটনা ঘটিয়েছেন।
শ্রীবরদী থানার ওসি মো. এস আলম বলেন, এ ঘটনায় মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক ব্যক্তিদের পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।