সাভারে ছুরিকাঘাতে আহত আলোকচিত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন

ছুরিকাঘাত
প্রতীকী ছবি

ঢাকার সাভারে পরিচয় জিজ্ঞাসা করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আহত কৃষ্ণ সরকার (৪০) নামের এক আলোকচিত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা গেছেন। গত সোমবার রাতে অস্ত্রধারীদের ছুরির আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হলে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ বুধবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।

নিহত কৃষ্ণ সরকার সাভারের সুতার নোয়াদ্দা এলাকার ননী গোপাল সরকারের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে কৃষ্ণ সরকারের ভাই গোবিন্দ সরকার চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় মামলা করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন কুষ্টিয়া জেলার মণ্ডলপাড়া এলাকার মো. বারেকের ছেলে মো. নয়ন (২৬), সাভারের আড়াপাড়া এলাকার মো. বেল্লালের ছেলে সেপাল বাশার (২৫), একই এলাকার আবদুল হালিমের ছেলে মো. আকাশ (২৪) এবং সাভারের নামাবাজার এলাকার জামালের ছেলে সোহেল ওরফে বুলেট (২৬)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে কৃষ্ণ সরকার ঢাকার মগবাজারের স্টুডিওতে কাজ শেষে করে বাড়ি ফিরছিলেন। কৃষ্ণ সরকার তাঁর বাড়ির কাছাকাছি আরাপাড়া জমিদারবাড়ির পুকুরপাড়ে পৌঁছালে কয়েকজনকে বসে থাকতে দেখেন। এ সময় কৃষ্ণ সরকার তাঁদের পরিচয় জানতে চান এবং সেখানে বসে থাকার কারণ জানতে চান। এতে তাঁরা কৃষ্ণ সরকারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করেন। একপর্যায়ে কৃষ্ণ সরকারকে ছুরিকাঘাত করে তাঁরা পালিয়ে যান।

পরে স্থানীয় লোকজন আহত কৃষ্ণ সরকারকে উদ্ধার করে প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ বুধবার সকালে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

কৃষ্ণ সরকারের ভাই গোবিন্দ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, বাড়ির সামনের পুকুরপাড়ে নিয়মিত এলাকার উঠতি বয়সের কিছু বখাটে তরুণ মাদক সেবন করেন। তাঁরা স্থানীয় বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত। ওই তরুণেরাই তাঁর ভাইকে ছুরিকাঘাত করেছেন বলে তিনি দাবি করেন।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে কৃষ্ণ সরকারের পরিবার থানায় মামলা করেছে। এর পর থেকেই আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এদিকে কৃষ্ণ সরকারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।