সিলেটে শিক্ষার্থী হত্যার পেছনে বন্ধুত্বের দ্বন্দ্ব?

মিসবাহ উদ্দিন
মিসবাহ উদ্দিন

একসঙ্গে ছিলেন পাঁচ ‘বন্ধু’। হঠাৎ তিন বন্ধু কিছু সময়ের জন্য আলাদা হয়ে যান। পরে অতর্কিত আক্রমণ। সেই আক্রমণে চাপাতির কোপে ঘটনাস্থলেই মারা যান মিসবাহ।
সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় গত শনিবার রাতে এভাবেই চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে শিক্ষার্থী মিসবাহ উদ্দিনকে (২০) হত্যা করা হয়। ঘটনার অন্তত পাঁচজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশের ধারণা, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ‘বন্ধুত্বের দ্বন্দ্ব’ রয়েছে। তবে সেই দ্বন্দ্বটা কী, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পরপরই মিসবাহর এক বন্ধুকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
গতকাল রোববার সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মিসবাহর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা লাশ দাফনের জন্য গ্রামের বাড়িতে গেছেন। দাফন শেষে মামলা করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নগরের মজুমদারি এলাকায় মিসবাহদের পরিবারের বসবাস। তবে তাঁদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার চণ্ডপুরে।
সিলেট কোতোয়ালি থানার সহকারী কমিশনার (এসি) নুরুল হুদা আশরাফী জানান, মামলা না হলেও পুলিশ আসামি শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে বন্ধুদের মধ্যে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। তবে তাঁদের মধ্যে কী নিয়ে দ্বন্দ্ব, এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে হত্যায় অংশ নেওয়া একাধিক খুনি শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নগরের ব্যস্ততম এলাকা জিন্দাবাজারে কাস্টমস কার্যালয়ের ফটকের সামনে প্রকাশ্যে মিসবাহকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরপরই ওই এলাকা থেকে মিসবাহর সঙ্গে থাকা রমজান নামের একজনকে আটক করে পুলিশ।

মিসবাহর আত্মীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, তাঁর বাবা রহমত উল্লাহ জার্মানপ্রবাসী। সন্তানদের পড়াশোনার সুবিধার জন্য সাত বছর আগে পরিবারকে সিলেট নগরে নিয়ে আসেন তিনি। তাঁর স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে একসঙ্গে থাকতেন।