সীমান্তে কড়া পাহারা তবু 'আসছে' ইয়াবা

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে রোহিঙ্গারা। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তে কড়া পাহারা দিচ্ছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র বলছে, এর মধ্যেও মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান আসা বন্ধ নেই।

গতকাল রোববার ভোররাতে টেকনাফের সাবরাংয়ের আড়াই নম্বর স্লুইসগেট এলাকা থেকে পাঁচ লাখ ইয়াবা বড়িসহ একটি নৌকা জব্দ করে বিজিবি।

টেকনাফ পৌরসভার লামার বাজারের ব্যবসায়ী মমতাজ আহমদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নাফ নদীতে জেলেরাও নামতে পারছেন না। অথচ এরই মধ্যে ইয়াবা আসছে।

গতকাল পাঁচ লাখ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর আবু রাসেল সিদ্দিকী বলেন, বিজিবির সদস্যরা পিছু নিলে পাচারকারীরা দুটি গুলি ছোড়ে। এ সময় বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে আটটি গুলি করে। একপর্যায়ে পাচারকারীরা নাফ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। পরে নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে পাঁচ লাখ ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়।

বিজিবি ও কোস্টগার্ড সূত্র জানায়, ২০ নভেম্বর বিজিবির সদস্যরা ৬ লাখ ৯১ হাজার ১০৪টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেন। সেদিনও অভিযানের সময় পাচারকারীরা নৌকা থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মিয়ানমারে পালিয়ে যায়। এ ছাড়া ১৮ নভেম্বর রাতে বিজিবি ৮০ হাজার ও কোস্টগার্ড ৭০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে।

বিজিবি সূত্র জানায়, গত অক্টোবরে বিজিবি ১০ লাখ ৮ হাজার ৩৭৫টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে। ১ থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ১৬ লাখ ৯৭ হাজার ৮৫৯টি ইয়াবা বড়ি।

২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আবুজার আল জাহিদ বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোর পাশাপাশি বিজিবি ইয়াবা চোরাচালানও বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজিবি সতর্ক বলেই বেশি চালান ধরা পড়ছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মজিদ বলেন, নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবা চোরাচালান থেমে নেই। স্থলপথে পাচারের সময় পুলিশও কয়েকটি ইয়াবার ছোট চালান ধরেছে।