হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে ২০ হাজার টাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ফাঁদ

চক্রের সন্দেহভাজন প্রধানকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি
ছবি: সংগৃহীত

মাত্র ২০ হাজার টাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ—এমন প্রস্তাব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করে প্রতারণা করে আসছিল সংঘবদ্ধ একটি চক্র।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টারের নিয়মিত অনলাইন মনিটরিংয়ে এই গ্রুপের সন্ধান পাওয়া গেছে। পরে অভিযান চালিয়ে নড়াইলের লোহাগড়া থেকে চক্রের প্রধান সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতারক চক্রটি ‘বিআরইউআর চান্স ১০০% করে দিব’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলে। এরপর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ গ্রুপ থেকে বার্তা দেওয়া হয়। বার্তায় বলা হয়, ‘যারা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়নি, তাদের চান্স পাইয়ে দেব। এতে খরচ হবে ২০ হাজার টাকা। এ জন্য অগ্রিম পেমেন্ট করতে হবে ৮৫০ টাকা।’

একই গ্রুপ থেকে আরেক বার্তায় বলা হয়, যাঁরা ফলাফল পরিবর্তন করার জন্য ৮৫০ টাকা দিয়েছেন, তাঁদের ফলাফল পরিবর্তন করা হয়েছে। বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফলাফল পাবেন। বাকি টাকা ভর্তির পর দেবেন।

এভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। সোমবার নড়াইলের লোহাগড়া থেকে চক্রটির প্রধান মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। এ সময় তাঁর কাছ থেকে অর্থ লেনদেনে ব্যবহৃত বিকাশ সিমসহ ১০টি সিম, ৩টি মুঠোফোন ও ১টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

চক্রটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গেও যুক্ত বলে দাবি করে সিআইডি। চক্রটি বিভিন্ন মুঠোফোন নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ব্যবহার করে ২০১৭ সাল থেকে প্রতারণা করে আসছিল।

চক্রের সদস্যরা প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেওয়ার কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিতেন। এরপর গ্রুপটি বন্ধ করে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতেন তাঁরা। সিআইডি বলেছে, চক্রের বাকি সদস্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।