জাল ভিসায় ইউরোপে মানুষ পাঠানোর অভিযোগে শাহজালাল থেকে পাঁচজন গ্রেপ্তার
জাল ভিসার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ইউরোপের দেশগুলোতে পাঠানোর অভিযোগে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বুধবার যৌথ অভিযান চালিয়ে বিমানবন্দরের সামনে থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
ডিবি জানায়, অনেক দিন ধরেই বিমানবন্দরকেন্দ্রিক বিভিন্ন সংস্থার নিম্নপদস্থ কর্মচারী ও বেসরকারি এয়ারলাইনসের লোকজন একটি চক্র গড়ে তুলেছেন। তাঁরা জাল ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মানব পাচার করতেন। এ জন্য তাঁদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিতেন তাঁরা। অনেক দিন ধরেই চক্রটিকে ধরার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিল বিমানবন্দর এপিবিএন ও গোয়েন্দা পুলিশ।
বুধবার এমন একটি চক্র জাল ভিসার মাধ্যমে তিনজনকে ইউরোপে পাঠানোর চেষ্টা করছে বলে খবর পায় এপিবিএন। পরে বিমানবন্দরের টার্মিনাল-২–এর সামনে থেকে ডিবি ও এপিবিএন যৌথ অভিযান চালিয়ে চক্রের দুই হোতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও মোহাম্মদ কবির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় জাল ভিসা নিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করায় জানে আলম, সাব্বির মিয়া ও সম্রাট সওদাগর নামের তিনজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে তিনটি পাসপোর্ট, তিনটি জাল ভিসা, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশের স্পেশাল কার্ড, মোবাইল, ই–টিকিট, ওয়ার্ক পারমিট ও ভিসার নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে।
ডিবির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তি স্বীকার করেছেন জাল ভিসার মাধ্যমে তাঁরা প্রথমে কাতার যাচ্ছিলেন। পরে সেখান থেকে অবৈধ পথে ফ্রান্স, ইতালি ও গ্রিসে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। এ জন্য দালালকে ১৬ থেকে ১৮ লাখ করে টাকা দিয়েছেন তাঁরা।
মশিউর রহমান আরও বলেন, গ্রেপ্তার কবির হোসেন কাতার এয়ারলাইনসের বুকিং সহকারী, আর আসাদুজ্জামান শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মী।
প্রতারণা ও জাল–জালিয়াতির অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পরে বৃহস্পতিবার আদালত তাঁদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।