পল্লবীতে বাসচালকের সহকারী পাভেল হত্যায় আরও গ্রেপ্তার ৩

গ্রেপ্তারপ্রতীকী ছবি

রাজধানীর পল্লবীতে বাসচালকের সহকারী রিহান ইসলাম ওরফে পাভেল হত্যায় জড়িত আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গতকাল বুধবার রাতে তাঁদের বরিশাল, বরগুনা ও টাঙ্গাইলে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

গতকাল রাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রায়হান ওরফে বাবু (২৪), সোহেল ওরফে তোতা মামা (২৪) ও বাচ্চু ওরফে কাজল বাচ্চু (২৩)।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ডিবি মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মানস কুমার পোদ্দার প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনকে পল্লবী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

ডিবি মিরপুর বিভাগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে বেশ কয়েকজন আসামি  পূর্বপরিকল্পিতভাবে পাভেলকে ডেকে পল্লবী থানাধীন সেকশন–১২ স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকা–১–এর পেছনে টেকেরবাড়ি এলাকায় গণপূর্তের পুকুরের উত্তর পাড়ে নিয়ে যায়। পরে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে পাভেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গণপূর্তের পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় পাভেলের মা পল্লবী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলে ১৫ এপ্রিল মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।

পল্লবী থানার বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মামলা যেদিন হয়, সেদিন রাতেই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন হাবিব (২৮), আনিস (২২), মিলন হোসেন (৩৭), শাহাবুদ্দীন (২৮) ও সোহান ইসলাম (২৬)। গতকাল বুধবার হাবিব আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বাকি চারজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

পুলিশ জানায়, রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় গ্রুপিং নিয়ে পাভেল ও হাবিবের মধ্যে মারামারি হয়। মারামারির একপর্যায়ে হাবিবের হাতে কোপ দেন পাভেল। ওই ঘটনায় ২০২৩ সালে ২৮ ডিসেম্বর বাড্ডা থানায় মামলা হয়। এর বদলা নিতে পরিকল্পনা করতে থাকেন হাবিব। পাবেল কারাগার থেকে বের হলে হাবিব তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

পাভেলের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম শায়েস্তা খান। পাভেল থাকতেন বাড্ডার পাঁচতলা বাজার এলাকায়। তিনি বাসচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। তবে তাঁর মায়ের ভাষ্যমতে, ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন পাভেল।