জিগাতলায় কলেজছাত্র সামিউর হত্যার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
রাজধানীর জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড–সংলগ্ন এলাকায় ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র সামিউর রহমান হত্যার ঘটনায় রায়হান (১৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হাজারীবাগ এলাকা থেকে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান প্রথম আলোকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে হাজারীবাগ এলাকা থেকে রায়হান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজাহারে নাম না থাকলেও সিসিটিভি ক্যামেরার (ক্লোজ সার্কিট) ফুটেজ এবং স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতেও অভিযান অব্যাহত আছে।
১৬ মে সন্ধ্যায় জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড–সংলগ্ন পাতাম রেস্টুরেন্ট এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন সামিউর রহমান (আলভি)। হঠাৎ ১৫ থেকে ২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্ত দল এসে রড, লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর শুরু করে। মারধর থেকে বাঁচতে দৌড় দিয়ে রাস্তার অপর পাশের একটা গলির ভেতরে ঢুকে পড়লে সেখানেই তাঁকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। আর তাতেই মারা যান সামিউর। তবে তাঁকে কেন এভাবে হত্যা করা হলো, সেটা পরিষ্কারভাবে বলতে পারছেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পুলিশও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত তথ্য পায়নি। এ ঘটনায় সামিউরের বাবা মশিউর রহমান খান বাদী হয়ে হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ বলছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে সামিউরকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে। তাঁদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সামিউর রহমান ধানমন্ডির ডক্টর মালিকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, থাকতেন হাজারীবাগ বিডিআর ৫ নম্বর গেটের বাসের আলী আবাসিক এলাকায়। তাঁর বাবা মশিউর রহমান ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। চার ভাইবোনের মধ্যে সামিউর ছিলেন সবার বড়। তাঁর ছোট তিন বোন রয়েছে।