ঈদের ছুটিতে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ ২১ শিশুকে উদ্ধার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ

দেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া ২১ শিশুকে উদ্ধার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ
ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল আজহার ছুটিতে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে নিখোঁজ ২১ শিশুকে উদ্ধার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এসব শিশু পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে পর্যটকদের ভিড়ে হারিয়ে গিয়েছিল। উদ্ধারের পর এসব শিশুকে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিয়া ফারজানা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ২৭ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত পাঁচ দিনে দেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। এ সময় পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে এসে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে ৯টি, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত থেকে ৫, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত থেকে ৪, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক থেকে ১, রংপুর চিড়িয়াখানা থেকে ১ ও ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে ১ শিশুসহ মোট ২১ শিশু নিখোঁজ হয়।

নাদিয়া ফারজানা বলেন, নিখোঁজের পর শিশুদের পরিবার ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে অভিযোগ দেয়। পরে ট্যুরিস্ট পুলিশ পৃথক সময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ২১ শিশুকে উদ্ধার করে। এরপর পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয় তাদের।

পুলিশ কর্মকর্তা নাদিয়া ফারজানা আরও বলেন, ঈদুল আজহার ছুটির সময় দেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ১০ লাখ ৯১ হাজার ৮০৪ জন দেশি ও ২২৫ জন বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন। তাঁদের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। ট্যুরিস্ট পুলিশে মঞ্জুরীকৃত জনবলের সংখ্যা ১ হাজার ৩৯৪ হলেও বর্তমানে কর্মরত ১ হাজার ১৯১ জন। সীমিত জনবল নিয়েও দেশের ৩০ জেলার ৪০টি পর্যটনকেন্দ্রে ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে।

এদিকে ১ জুলাই ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে গিয়ে রাজীব সরদার (১৭) নামের এক কিশোর মারধরের শিকার হয়। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। মামলাটি ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন তদন্ত করছে।