বন্ধুর আড্ডা থেকে তুলে নিয়ে সেলিমকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর অভিযোগ
রাজধানীতে সেলিম রেজা নামের এক যুবককে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত শেরেবাংলা নগর থানার ওই মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর বন্ধু। সেলিম দীর্ঘদিন ধরে একটি জাতীয় দৈনিকের আলোকচিত্রীদের সহকারী হিসেবে কাজ করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সেলিম রেজার বন্ধু মো. ইয়াসিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেলিম রেজা আমার বাল্যবন্ধু। গতকাল রাতে আমি ও সেলিম নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতে আড্ডা দিচ্ছিলাম। রাত ৯টার পর হঠাৎ শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ সেখানে এসে সেলিমসহ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়।’
মামলার কাগজপত্রের তথ্য ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সেলিম রেজাসহ সাতজনকে গত জুলাইয়ের পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। অপর দিকে সেলিমের আইনজীবী রিমান্ডের আবেদন বাতিলের পাশাপাশি জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সেলিম রেজার আইনজীবী পলাশ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নসহ অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে জুলাইয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে পুলিশ। সেই মামলায় সেলিম রেজাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। অথচ সেলিম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তিনি একটি পত্রিকার আলোকচিত্রীদের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় তাঁকে ধরে নিয়ে পুরোনো রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মাসুমের আরেক বাল্যবন্ধু সাকিব হোসেন বলেন, সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর খবর শুনে তাঁর মা রিজিয়া বেগম অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যে ছেলে রাজনীতি করে না, তাঁকে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, সেলিম রেজা বিএনপির কর্মী। তিনি মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।’
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি আরও বলেন, মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। তদন্তে যদি সেলিম রেজার সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া যায়, তখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।