মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যায় গৃহকর্মীর দায় স্বীকার

সন্দেহভাজন গৃহকর্মী ৮ ডিসেম্বর সকালে বাসাটিতে ঢোকেন বোরকা পরে। দেড় ঘণ্টার কিছু সময় পরে তিনি স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে বের হয়ে যান। নিহত ব্যক্তিদের বাসার সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া গৃহকর্মীর ছবিছবি: ইউএনবি থেকে নেওয়া

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আসামি গৃহকর্মী আয়েশা আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশীতা ইসলামের আদালত তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আজ বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ছয় দিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক সহিদুল ওসমান মাসুম তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করলে আদালত তা রেকর্ড করেন।

এর আগে ১০ ডিসেম্বর সকালে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার চরকয়া গ্রাম থেকে গৃহকর্মী আয়েশা ও তাঁর স্বামী রাব্বি সিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ১১ ডিসেম্বর আয়েশার ছয় দিন ও রাব্বির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৪ ডিসেম্বর রাব্বি সিকদার আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

নিহত লায়লা ফিরোজের স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ৮ ডিসেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় এই হত্যা মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ঘটনার চার দিন আগে (৫ ডিসেম্বর) আয়েশা তাঁদের বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ৮ ডিসেম্বর সকাল সাতটার দিকে তিনি নিজের কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থল থেকে তিনি স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে তিনি বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখেন তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা, রক্তাক্ত জখম। তিনি মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। আর তাঁর মেয়ের গলার ডান দিকে কাটা, সে গুরুতর আহত অবস্থায় বাসার মূল দরজার কাছাকাছি পড়ে ছিল।

মেয়েকে দ্রুত শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এজাহারে সিসিটিভি ফুটেজের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বাদী আজিজুল দেখতে পান, আসামি গৃহকর্মী আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে কাজ করার জন্য বাসায় আসেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে তাঁর মেয়ের একটি মুঠোফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে পালিয়ে যান।