চাকরি দেওয়ার নামে মন্ত্রীর পিএ পরিচয়ে প্রতারণা করেন তিনি

অভিযুক্ত বাস পঞ্চঞ্চা শাকিব
ছবি: সংগৃহীত

ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে সেখানে নিজের পরিচয় লেখেন মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ)। এরপর এই পরিচয় দিয়ে চাকরি দেওয়ার নামে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গতকাল সোমবার তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁর নাম বাস পঞ্চঞ্চা শাকিব (৩০)। আজ মঙ্গলবার তাঁকে প্রতারণার মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল রাতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ রহমান নগর আবাসিক এলাকা থেকে শাকিবকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। তিনি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

আজ বিকেলে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ মহিউদ্দীন বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।

আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, ‘চট্টগ্রামের চাকরি-বাকরি’ নামে ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলে ‍ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন শাকিব। সম্প্রতি ওই গ্রুপে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শিডিউলিং অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। এটি দেখে এক যুবক ওই গ্রুপের মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করেন। শাকিব নিজেকে তখন মন্ত্রীর পিএ পরিচয় দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নিশ্চয়তা দেন। এ জন্য তাঁকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিতে বলেন। চাকরির আশায় শাকিবকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন ওই যুবক। বাকি ৪০ হাজার টাকা চাকরির পর প্রতি মাসের বেতন থেকে পরিশোধের আশ্বাস দেন। টাকা দেওয়ার পর থেকে শাকিবের সঙ্গে মুঠোফোনে ও মেসেঞ্জারে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ওই যুবক।

আসিফ মহিউদ্দীন আরও বলেন, পরে ভুক্তভোগী যুবক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পিএর সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হন মন্ত্রীর পিএ পরিচয়ে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির সাইবার ইউনিটে এ বিষয়ে অভিযোগ দেন। এরপর ১৫ মার্চ কাউন্টার টেররিজম ইউনিটে অভিযোগটি দেওয়া হলে শাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তাঁর প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় খুলশী থানায় ভুক্তভোগী মামলা করেছেন। এ মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

চাকরির জন্য ঘুষ দেওয়া ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, আসামি ভুক্তভোগীসহ বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাদী ভুক্তভোগীর বিষয়টি তদন্ত করা হবে।