বিশ্বজিৎ হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নূরে আলম গ্রেপ্তার

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর দরজি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাসকে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা করা হয়
ফাইল ছবি

বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মীর মো. নূরে আলম ওরফে লিমনকে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের হুমায়ুন রোড এলাকা থেকে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-২-এর একটি দল। আজ সোমবার সকালে র‍্যাব-২-এর পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

র‍্যাব-২ বলছে, তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করেছে। বিশ্বজিৎ হত্যার দীর্ঘ ১০ বছর পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলো।

র‍্যাব বলছে, নূরে আলমের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। তাঁর বাবার নাম মীর মো. নুরুল ইসলাম। বাড়ি রংপুরের পীরগাছা।

র‍্যাব-২-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নূরে আলমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি বিশ্বজিৎ হত্যায় নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ চলাকালে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে দরজি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একদল কর্মী নৃশংসভাবে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যা করেন।

হত্যার ঘটনায় রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় মামলা হয়। মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ২১ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। পরে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২১ আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ১৩ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৮ আসামির মধ্যে দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ২০১৭ সালে রায় দেন হাইকোর্ট। নূরে আলমসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।

অপর দুজনকে খালাস দেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৩ আসামির মধ্যে যে দুজন আপিল করেছিলেন, তাঁরা খালাস পান।

হাইকোর্টের রায় ঘোষণার সময়ও নূরে আলম পলাতক ছিলেন বলে জানায় র‍্যাব।

মামলাটি এখন আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।