ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের দিলীপ কুমার আবার ৬ দিন রিমান্ডে
রাজধানীর বাড্ডা থানায় করা হৃদয় আহম্মেদ (১৬) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে আবার ৬ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
এর আগে একই মামলায় ৪ সেপ্টেম্বর দিলীপ কুমার আগরওয়ালার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এখন মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে।
আজ দিলীপ কুমারকে ডিবি পুলিশ এ মামলায় হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে চান। তবে আসামিপক্ষ এর বিরোধিতা করে তাঁর জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত দিলীপ কুমার আগরওয়ালার ছয় দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানায়, দিলীপ কুমারের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি হত্যা মামলা হয়েছে।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ জুলাই দুপুরে বাড্ডা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয় কিশোর হৃদয় আহম্মেদ। তখন আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় হৃদয়।
৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে দিলীপ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা ও সদরের একাংশ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য।
এদিকে ৩ সেপ্টেম্বরের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এক বার্তায় জানায়, সোনা ও হীরা চোরাচালানের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এবং এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে সোনা ও হীরা আমদানির নামে অর্থ পাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।
সিআইডি বলেছে, অভিযোগ রয়েছে, দিলীপ কুমার প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন জেলায় নামমাত্র শোরুমের মাধ্যমে প্রকৃত ডায়মন্ডের বদলে উন্নত মানের কাচের টুকরাকে ডায়মন্ড বলে বিক্রি করেছেন। তিনি দুবাই ও সিঙ্গাপুরে সোনা চোরাচালান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, ভারতের কলকাতায় তিনটি জুয়েলারি দোকান ও ১১টি বাড়ি এবং মালয়েশিয়া, দুবাই ও কানাডায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে তথ্য রয়েছে।
এ ছাড়া নানাভাবে প্রতারণার মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অবৈধভাবে একটি ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার অভিযোগ পাওয়ায় সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট দিলীপ কুমার আগরওয়ালা এবং এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে অনুসন্ধান শুরু করেছে।