ইতালি যাওয়ার পথে লিবিয়ায় অপহরণ, গ্রেপ্তার ২: ডিবি

ডিবি বলেছে, মানব পাচার চক্রে জড়িত অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

মানব পাচার চক্রের ফাঁদে পড়ে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে অপহৃত একজনকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পাশাপাশি অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানায় ডিবি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত শুক্রবার ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থেকে বাদশা এবং রাজিব মোল্লা নামের চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মাধ্যমে লিবিয়ায় যোগাযোগ করে অপহৃত শফিউল্লাহ শেখকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, শফিউল্লাহকে ইতালি পাঠানোর কথা বলে গত অক্টোবরে ঢাকা থেকে দুবাই পাঠান বাদশা।

শফিউল্লাসহ আরও ২০ জনকে দুবাই বিমানবন্দর থেকে একটি বাসায় নিয়ে যান গ্রেপ্তার রাজিবের আত্মীয় সবুজ। পরে দুবাই থেকে সিরিয়া হয়ে লিবিয়ার মিসরাত এলাকায় পাঠানো হয় শফিউল্লাহকে। মিসরাতে একটি ক্যাম্পে তাঁকে আটকে রেখে নির্যাতন করেন রাজিবের ভগ্নিপতি সুলতান। তারপর শফিউল্লাহর পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়।

হারুন অর রশীদ বলেন, শফিউল্লাহকে নির্যাতন করে মুঠোফোনে তাঁর পরিবারকে কান্না শুনিয়ে নির্যাতন করা হতো। শফিউল্লাহর পরিবার বিষয়টি গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগকে জানায়। গত ২৭ অক্টোবর যাত্রাবাড়ী থানায় মানব পাচার আইনে মামলা হলে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবি কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তার বাদশা ও রাজিব আন্তদেশীয় সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্রের সদস্য।

তাঁরা দেশের বেকার যুবক ও বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষকে ইতালি ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়ায় পাচার করেন। সেখানে অবস্থানকারী চক্রের সদস্যরা ভুক্তভোগীদের অপহরণের পর ক্যাম্পে আটক রেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। পরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেন।