মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের কর্মীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা, কার্যালয় ভাঙচুর
রাজধানীর মালিবাগে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে সোহাগ পরিবহনের মালিকের ভাইসহ কয়েকজনকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা সোহাগ পরিবহনের কার্যালয় ও মালিকের বাসা ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হামলার ঘটনার পর ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মালিবাগে রাত ১১টা ৭ মিনিটের দিকে সোহাগ পরিবহনের অফিসের সামনে দুই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছেন। এ সময় চাপাতি, ছুরি ও রড নিয়ে একদল দুর্বৃত্ত তাঁদের ওপর হামলা চালায়। তারা সোহাগ পরিবহনের কার্যালয়ও ভাঙচুর চালায়। হামলাকারীদের সোহাগ পরিবহনের কার্যালয়ে ইটপাটকেল ছুড়তেও দেখা যায়।
এ ব্যাপারে সোহাগ পরিবহনের মালিক মো. ফারুক তালুকদার প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেন, গতকাল রাতে ঢাকার বাইরে থেকে সোহাগ পরিবহনের একটি গাড়ি মালিবাগ সোহাগ পরিবহনের কার্যালয়ের সামনে এসে পৌঁছায়। তখন যাত্রীরা বাস থেকে নামছিলেন। যাত্রীদের নামার পথে দুই তরুণ ধূমপান করছিলেন। তাঁদের প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মী তাঁদের সরে গিয়ে ধূমপান করতে বলেন। এতে তাঁরা ক্ষুব্ধ হন।
ফারুক তালুকদার অভিযোগ করেন, একপর্যায়ে তরুণদের একজনকে ফোন করতে দেখা যায়। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন এসে সোহাগ পরিবহনের কার্যালয় ও কর্মচারীদের ওপর হামলা চালান। হামলকারীরা তাঁর ভাই আলী হাসানসহ (৩৬) কয়েকজনকে কুপিয়ে আহত করেন।
ফারুক তালুকদার অভিযোগ করেন, গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে ধুমপান করা এক তরুণের নাম বেল্লাল হোসেন। তিনি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা। তাঁর নেতৃত্বেই এই হামলা চালানো হয়। হামলায় আহত আলী হাসান ও গাড়িচালক জুয়েলকে (৩০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রমনা ও রামপুরা থানায় মামলা করা হচ্ছে।
হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন হেলাল বা অন্য কাউকে কথা বলার জন্য পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যোগাযোগ করা হলে রমনা অঞ্চলের পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. মাজারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় রমনা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।