নামী ব্র্যান্ডের নকল পানীয় তৈরি হতো কদমতলীর কারখানায়, যেত ফরিদপুর-চাঁদপুরে

নকল পানীয় ও স্যালাইন তৈরির অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। ঢাকা, ০৮ মেছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কদমতলী এলাকার একটি কারখানায় নামী ব্র্যান্ডের নকল ড্রিংকো ও ফ্রুটো জুস তৈরি করা হতো। আরেকটি কারখানায় তৈরি হতো ভেজাল স্যালাইন। এগুলো তৈরিতে ব্যবহৃত হতো স্যাকারিন, কৃত্রিম ফ্লেভার এবং মানহীন চিনি ও রাসায়নিক। পরে ফরিদপুর, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এগুলো পাঠানো হতো।

মঙ্গলবার এসব ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ। এ সময় বিপুল পরিমাণ ভেজাল জুস, স্যালাইন ও কাঁচামালও জব্দ করা হয়। বুধবার রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কারখানার মালিক মো. আনোয়ার হোসেন (৩৮), ডিলার শাহ নেওয়াজ খান (৩৩), বিক্রয়কর্মী মোরশেদুল ইসলাম (৫১), উৎপাদনকারী সবুজ মিয়া (২৩), উৎপাদনকারী মো. আরিফ (২৩) এবং নকল টেস্টি স্যালাইন তৈরির কারখানার মালিক হানিফ (৩০)।

ডিবি জানায়, নকল পানীয় কারখানার মালিক আনোয়ার হোসেন। তিনি ফেসবুকে ২৫-৪০ শতাংশ ছাড়ে ড্রিংকো, ফ্রুটো ও ম্যাঙ্গো ফ্রুটি জুস বিক্রির বিজ্ঞাপন দিতেন। দুই বছর ধরে তিনি এ কাজ করতেন। রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকা থেকে ভেজাল খাদ্য তৈরির কাঁচামাল ও লোগো সংগ্রহ করতেন।

পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ আরও বলেন, সাধারণত ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যাওয়ায় মানুষ স্যালাইন খায়। নকল স্যালাইন খেলে এই ঘাটতি পূরণ হয় না। এসব নকল স্যালাইন খেলে মানুষের হার্ট, যকৃৎ নষ্ট হয়ে মারা যেতে পারে। এ ছাড়া মস্তিষ্ক, কিডনি ও হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।