মাদক মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিচার শুরু

গোল্ডেন মনির
ফাইল ছবি

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন মনির’-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ সামিদুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ গঠন করেন। আগামী ২ নভেম্বর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করেছেন আদালত। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন এ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি সালাহউদ্দিন হাওলাদার।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, অভিযোগ গঠনের শুনানি উপলক্ষে আজ মনিরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানিতে আসামি মনির নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।

বিদেশি মদ উদ্ধারের ঘটনায় ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর মনিরের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা হয়।

গত বছরের ২০ জানুয়ারি মনিরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। পরে আদালত অভিযোগপত্র আমলে নেন। আজ আদালত মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করলেন। এর মধ্য দিয়ে মামলার বিচার শুরু হলো।

মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও মামলা রয়েছে। এই মামলায় গত বছরের ১০ মে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। একই বছরের ২৬ জানুয়ারি এই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

গত শতকের নব্বইয়ের দশকে রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেটে কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী ছিলেন মনির। পরে তিনি মৌচাক মার্কেটে ক্রোকারিজের দোকানে চাকরি নেন। একপর্যায়ে তিনি বিমানবন্দরকেন্দ্রিক লাগেজ পার্টি ও সোনার চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েন। পরিচিতি পান ‘গোল্ডেন মনির’ নামে।

সোনা চোরাচালানের মাধ্যমে অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার পর মনির কবজায় নেন রাজউক। কারসাজির মাধ্যমে মালিক হন একের পর এক প্লটের। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে মনিরের সখ্য ছিল।

রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় ডিআইটি প্রজেক্টের ১১ নম্বর সড়কে মনিরের ৬ তলা বাড়ি আছে। ২০২০ সালের নভেম্বরে সেখানে অভিযান চালিয়ে গুলিসহ বিদেশি পিস্তল, ৪ লিটার বিদেশি মদ, ৩২টি নকল সিল, ৮ লাখ টাকার বেশি মূল্যমানের বিদেশি মুদ্রা, ৬০০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করার কথা জানায় র‍্যাব। একই সঙ্গে মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।