যাত্রাবাড়ীতে জোড়া খুনের ঘটনায় মামলা, খুনি শনাক্ত হয়নি
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে শফিকুর রহমান-ফরিদা ইয়াসমিন দম্পতি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মামলা করা হয়েছে। নিহত দম্পতির ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। তবে পুলিশ এই জোড়া খুনের মামলায় আজ শুক্রবার পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।
নিহত দম্পতির একমাত্র ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন পুলিশের বিশেষ শাখার উপপরিদর্শক (এসআই)। তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত বুধবার দিবাগত রাত একটা থেকে পরদিন গতকাল সকাল ছয়টার মধ্যে তাঁদের বাড়িতে দুষ্কৃতকারীরা ঢুকে তাঁর মা-বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে। পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
আবদুল্লাহ আল মামুন আজ প্রথম আলোকে বলেন, কারা কেন তাঁর মা–বাবাকে হত্যা করল, এর কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না। গ্রামের বাড়িতে শুধু জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণেই তাঁর মা-বাবাকে হত্যা করা হয়েছে, তা তিনি মনে করেন না। তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল রাতে তাঁর মা-বাবার মরদেহ রাজধানীর মাতুয়াইল কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, পারিবারিক বিরোধের জেরে শফিকুর-ফরিদা দম্পতিকে হত্যা করা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান আজ প্রথম আলোকে বলেন, মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। হত্যাকারী শনাক্ত করতে এবং মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
মামলার ছায়া তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ বিভাগ। আজ বিকেলে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পিবিআই ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার সারোয়ার জাহান প্রথম আলোকে বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কিন্তু কী কারণে, কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ কর্মকর্তা সারোয়ার জাহান বলেন, নিহত দম্পতির বাড়ির কাছে কোনো ক্লোজড সার্কিট (সিসি) টিভি ক্যামেরা নেই। এই কারণে খুনি শনাক্তে পুলিশকে বেগ পেতে হচ্ছে।
গতকাল সকালে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ মোমেনবাগের বাসার নিচতলার পার্কিংয়ে শফিকুরের (৬২) লাশ দেখতে পায়। তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের সদস্যরা দোতলায় গিয়ে শোবার ঘরে ফরিদার (৫৫) লাশ পান। তাঁর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার সময় নিহত দম্পতির ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন ফেনীতে দাদাবাড়িতে ছিলেন।