ছাত্রলীগ কর্মী ইভান হত্যা মামলায় আরেক আসামি গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে প্রায় এক বছর আগে ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া কলেজছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী আসকার বিন তারেক ওরফে ইভান (১৮) হত্যা মামলার আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে নগরের লালদীঘির পাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি শচীন দাশকে (২০) গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার সরদারপাড়ার বাসিন্দা।
এলাকায় ভাসমান দোকানে চাঁদাবাজি ও আড্ডার জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জেরে আসকারকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ আছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন পলাতক থাকা এজাহারভুক্ত আসামি শচীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আসকার হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গত বছরের ২২ এপ্রিল প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হন ছাত্রলীগ কর্মী আসকার। বিএএফ শাহীন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি।
আসকারের বাবা এস এম তারেক পোশাক কারখানায় মালামাল সরবরাহের ব্যবসা করতেন। হত্যাকাণ্ডের পর তিনি প্রথম আলোকে বলেছিলেন, অনেক চেষ্টা করেও ছেলেকে তিনি ফেরাতে পারেননি। আড্ডা, খারাপ বন্ধুদের কাছ থেকে দূরে রাখতে পারেননি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রমতে, এলাকায় ভাসমান দোকানে চাঁদাবাজি ও আড্ডার জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জেরে আসকারকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ আছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সূত্রপাত গত বছরের ২০ এপ্রিল। ওই দিন কাজীর দেউড়ি এলাকায় ধ্রুব নামের এক তরুণকে একা পেয়ে মারধর করেন আসকার। এর জেরে ২২ এপ্রিল ইফতারের পর চেরাগী মোড়ে আসকারের বন্ধু অমিতকে মারধর করেন ধ্রুব। বিষয়টি জানার পর আসকার চেরাগী মোড়ে আসেন। সেখানে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে গেলে আসকারকে ছুরিকাঘাত করা হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার এক দিন পর আসকারের বাবা তারেক কোতোয়ালি থানায় আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় ১০–১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। আসামিদের বয়স ১৭ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। এখন পর্যন্ত এ মামলায় মোট আট আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।