কলকাতাগামী মৈত্রী ট্রেনে ৫৫ সোনার বারসহ ৮ যাত্রী আটক

কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে ৮ যাত্রীর কাছ থেকে ৫৫টি সোনার বার জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর
ছবি: সংগৃহীত

কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে আজ বুধবার অভিযান চালিয়ে ৮ যাত্রীর কাছ থেকে সাড়ে ৬ কেজি ওজনের ৫৫টি সোনার বার জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে এ অভিযান চলে। শুল্ক গোয়েন্দারা বলেছেন, উদ্ধার করা সোনার দাম প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা।

আটক ব্যক্তিরা হলেন সোহেল রানা (৪৭), বিল্লাল ব্যাপারী (৫২), তাজবির আহমেদ (৩৮), নাজমুল হাসান নীরব (৩০), শাহে আলম (৪০), মো. নাদিম (৪১), সুলতান চৌধুরী (২৬) ও মো. সুমন (৩৬)।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উপপরিচালক শাকিল খন্দকার ও আহমেদুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি টহল দল ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার আগমুহূর্তে কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালায়। এ সময় তারা চিরুনি অভিযান চালিয়ে ৮ বাংলাদেশির কাছ থেকে সাড়ে ৬ কেজি ওজনের ৫৫টি সোনার বার জব্দ করে। এ সময় আট যাত্রীকে আটক করা হয়।

অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহমেদুর রেজা চৌধুরী আজ বিকেলে প্রথম আলাকে বলেন, আটক ব্যক্তিরা সোনা চোরাচালান চক্রের সদস্য।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে তাঁরা এই সোনার বারগুলো ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কর পরিশোধ করে এনেছিলেন। সেই বারগুলো আজ বিশেষ কায়দায় পায়ুপথে ঢুকিয়ে ভারতে নেওয়ার জন্য তাঁরা ট্রেনে উঠেছিলেন। কিন্তু তাঁদের আটক করে এক্স-রে পরীক্ষা করার পর তাঁদের পায়ুপথে সোনার বারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে সেই বারগুলো বিশেষ কায়দায় বের করে আনা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানান, মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইয়ে অবস্থানরত ভারতীয়রা এসব সোনা কিনে তাঁদের বহন করাচ্ছিলেন। এ জন্য তাঁদের ভাড়া এবং বিমানবন্দরে শুল্ক কর পরিশোধের টাকা দুবাইয়ে অবস্থানরত ভারতীয়রাই দেন। ভারতে ওই সোনা পৌঁছে দিতে পারলে সেখান থেকে আটক ব্যক্তিরা কমিশন পেতেন। এ জন্যই তাঁরা সোনাগুলো ভারতে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা আহমেদুর রেজা চৌধুরী বলেন, কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে এই প্রথমবারের মতো সোনাসহ চোরাচালানিরা ধরা পড়ল। আটক সোনার বার ঢাকার কাস্টম হাউসে জমা দেওয়া হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও শুল্ক ধারায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।