পিটিয়ে নদে ফেলার দুই দিন পর ভেসে উঠল যুবকের লাশ

মরদেহপ্রতীকী ছবি

পূর্বশত্রুতার জেরে দুজনকে পিটিয়ে নদে ফেলার দুই দিন পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে মো. শাহীন (২৬) নামের এক যুবকের লাশ তুরাগ নদে ভেসে উঠেছে। মোশাররফ হোসেন (৩০) ওই দিনই ঘটনার পর সাঁতার কেটে নদের পাড়ে উঠতে সক্ষম হন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শাহীনের ভাই মো. শামীম আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, শাহীন পেশায় অটোরিকশাচালক ছিলেন। তাঁকে নিয়ে তিনি আদাবরের সুনিবিড় হাউজিংয়ে থাকতেন। শাহীন অবিবাহিত ছিলেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদী।

মো. শামীম বলেন, গাবতলীর দীপনগরের এক ব্যক্তির সঙ্গে শাহীনের বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত সোমবার দিবাগত রাতে ওই ব্যক্তি শাহীন ও তাঁর বন্ধু মোশাররফকে ডেকে দীপনগরে নিয়ে পেটান। একপর্যায়ে তাঁদের নদে ফেলে দেওয়া হয়। মোশাররফ সাঁতার কেটে পাড়ে উঠতে সক্ষম হলেও নদে খোঁজ করেও শাহীনের সন্ধান পাননি তাঁরা। আজ সকালে দীপনগর–সংলগ্ন তুরাগ নদে শাহীনের লাশ ভেসে ওঠে। এ ব্যাপারে দারুসসালাম থানায় হত্যা মামলা করবেন তাঁরা।

রাজধানীর দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিব–উল–হোসেন আজ প্রথম আলোকে বলেন, জনতা ছিনতাইকারী সন্দেহে শাহীন ও মোশাররফকে পিটিয়ে তুরাগ নদে ফেলে দেন। ঘটনার পর মোশাররফ সাঁতার কেটে নদের পাড়ে ওঠেন। এ সময় নিখোঁজ ছিলেন শাহীন। সকালে দীপনগর–সংলগ্ন তুরাগ নদে তাঁর লাশ ভেসে ওঠে।

ওসি আরও জানান, দারুসসালাম থানা–পুলিশ শাহীনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। লাশে পচন ধরেছে।

এর আগে গত ২৫ মে দারুসসালাম থানার আহম্মদনগরের হাড্ডিপট্টি এলাকায় জনতা মাদক কারবারি সন্দেহে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেন।