ঢাকায় অপহরণের শিকার শিশুকে পাঁচ ঘণ্টার মাথায় উদ্ধার

রাজধানীর মিরপুর থেকে অপহৃত সাড়ে চার বছর বয়সী এক শিশুকে পাঁচ ঘণ্টার মাথায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে চারটার দিকে হাজারীবাগ এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এ সময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন— ইব্রাহিম ওরফে রনি (৩২) ও আফজাল মাতুব্বর (২৪)।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে, শিশুটি মা-বাবার সঙ্গে মিরপুর থানার পূর্ব মণিপুরের কাঁঠালতলা এলাকায় থাকে। একই এলাকায় থাকার সুবাদে ইব্রাহীম গতকাল বেলা ১১টার দিকে তাদের বাসায় যান। পরে ইব্রাহীম ও ওই শিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

একপর্যায়ে শিশুটির বাবার কাছে মুক্তিপণ দাবি করেন ইব্রাহীম। অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করাও হয়। পরে অপহরণের অভিযোগে ইব্রাহিমকে আসামি করে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী।

ডিবি মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মানস কুমার পোদ্দার আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, মামলা হওয়ার পর শিশুটিকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে ডিবি। প্রযুক্তির সহায়তায় কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাপুরে ইব্রাহীমের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে বিকেল চারটার দিকে আবদুল্লাপুরে আফজালের বাসা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে ডিবি মিরপুর বিভাগের একটি দল। এ সময় ইব্রাহিম ও তাঁর বন্ধু আফজালকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবি কর্মকর্তা মানস কুমার বলেন, গ্রেপ্তার ইব্রাহিম ও আফজাল আজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত দুই আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

অপহরণের শিকার আরেক শিশু উদ্ধার
এদিকে অপহরণের ১০ দিন পর ৯ বছর বয়সী আরেক শিশুকে রাজধানীর পল্লবীর পূরবী সিনেমা হলের সামনে থেকে উদ্ধার করেছে ডিবি মিরপুর বিভাগ। তবে অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন জুয়েল রানা ওরফে উজ্জ্বল পালিয়ে গেছেন। শিশুটি মা–বাবার সঙ্গে মিরপুর–৭ নম্বর এলাকায় থাকে।

ডিবি মিরপুর বিভাগ জানিয়েছে, গত ১৮ নভেম্বর বেলা আড়াইটার দিকে মিরপুর–৭ নম্বরের বাসা থেকে অপহরণ করা হয় শিশুটিকে। এরপর অপহরণকারীরা তার বাবার কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। ওই ঘটনায় প্রথমে পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হলেও পরে অপহরণের মামলা করা হয়।

ডিবি কর্মকর্তা মানস কুমার পোদ্দার প্রথম আলোকে বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে পল্লবী অঞ্চলে ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার রাশেদ হাসানের নেতৃত্বে ডিবির একটি দল জুয়েল রানার পিছু নেয়। বিষয়টি টের পেয়ে তিনি শিশুটিকে পূরবী সিনেমা হলের সামনে রেখে পালিয়ে যান। সেখান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।