নাইমা সুলতানা বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় এক নারী আদালতে তাঁর কাবিননামা উপস্থাপন করেন, সেখানে দেনমোহর আট লাখ টাকা। অপর দিকে ওই নারীর আরেকটি কাবিননামা উপস্থাপন করেন ওই মামলার আসামি, তাতে দেনমোহর এক লাখ টাকা। পরে আসামি তিন লাখ টাকার আরেকটি দেনমোহর আদালতে জমা দেন। একই বর–কনের বিয়েসংক্রান্ত ভিন্ন ভিন্ন দেনমোহর আদালতে উপস্থাপিত হওয়ায় আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই গতকাল অভিযান চালিয়ে চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে টাকার বিনিময়ে জাল কাবিননামা তৈরি করে গ্রাহকের চাহিদামতো দিয়ে আসছেন। এ কাজে তাঁদের সহযোগিতা করেন নগরের এক কাজির সহযোগী মো. আজাদ।

পিবিআই পুলিশ সুপার আরও বলেন, গ্রেপ্তার টিপু দাশ নগরের সদরঘাট এলাকায় একটি কম্পিউটার ও ফটোকপির দোকান চালান। তাঁর দোকানে এসব জাল কাবিননামা তৈরি হয়। চক্রের প্রধান আজাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে হালিশহর থানায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আজ আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আগামী রোববার শুনানি হতে পারে। রিমান্ডে তাঁদের কাছ থেকে জালিয়াতির বিস্তারিত তথ্য ও চক্রের বাকি সদস্যদের শনাক্ত করা যাবে।