আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান ৯ মামলায় জামিন পেলেন

আলেশা মার্টের লোগোছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ৯ মামলায় জামিন পেয়েছেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (সিএমএম) তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।

মঞ্জুর আলম শিকদারের আইনজীবী অলিউর রহমান প্রথম আলোকে এ কথা জানান।

এর আগে শনিবার রাতে রাজধানীর বনানী থেকে মঞ্জুরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় গুলশান থানা-পুলিশ। গতকাল রোববার তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ৯ মামলায় ঢাকার সিএমএম আদালতে মঞ্জুর আলম শিকদারের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।

পুলিশ বলছে, গ্রাহকদের করা একাধিক প্রতারণার মামলায় মঞ্জুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। মঞ্জুরের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনেও মামলা আছে। এই মামলার বাদী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির তথ্যমতে, ২০২০ সালের ২৬ জুলাই আলেশা মার্ট যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়। প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আলেশা মার্টের যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি।

আরও পড়ুন

যাত্রা শুরুর পর কম মূল্যে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য সরবরাহের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে বহু গ্রাহককে পণ্য না দিয়ে কিংবা টাকা ফেরত না দিয়ে ই-কমার্স ব্যবসার আড়ালে প্রতারণার মাধ্যমে তারা টাকা পাচার (মানি লন্ডারিং) করে বলে দাবি সিআইডির।

আরও পড়ুন

সিআইডি বলছে, ৪টি বেসরকারি ব্যাংকে আলেশা মার্টের ৪টি ব্যাংক হিসাব থেকে ৪২১ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৩১ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ কেনা হয়েছে। ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৫ আগস্টের মধ্যে এই সম্পদ কেনা হয়।

মঞ্জুরের ২০২০-২১ অর্থবছরের আয়কর বিবরণীর তথ্য তুলে ধরে সিআইডি বলছে, বেতন ও আনুষঙ্গিক মিলে তাঁর আয় ছিল মাত্র ১৩ লাখ ৯০ হাজার। অথচ ৭ মাসের ব্যবধানে তিনি ৩১ কোটি টাকার সম্পদ কেনেন।