পুরান ঢাকায় সোনা ডাকাতির ঘটনায় ৪ জন গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার ডাকাত সাদেক হোসেনকে (বাঁয়ে) ও মোক্তার হোসেন পেশায় পরিবহনশ্রমিকছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পুরান ঢাকার কাপ্তানবাজারে গত বৃহস্পতিবার সোনা ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ওয়ারী থানা-পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মোক্তার হোসেন (৫৪), সাদেক হোসেন (৩৬)। তাঁদের সহযোগীরা হলেন নাসিমা বেগম (৪০) ও মোছা. কাজল (৪০)।

গত শুক্রবার এ ঘটনায় মামলা করেন স্বর্ণকার মোহাম্মদ আলী। তিনি দাবি করেন, ৪০ ভরি ৫ আনা ওজনের গলিত সোনা ডাকাতি হয়েছে।

ওয়ারী থানার পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বর্ণকার মোহাম্মদ আলীর ছোট ভাই মো. জসিম ও দোকানের কর্মচারী মালেক ৪০ ভরি ৫ আনা ওজনের গলিত সোনা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের দোকানের উদ্দেশে রওনা দেন। তাঁরা বাস থেকে গুলিস্তানে নেমে হেঁটে তাঁতীবাজারের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। কাপ্তানবাজারের এরশাদ মার্কেট ভবন-১–এর সামনে পৌঁছানোর পর জসিম পেছনে ফিরে দেখেন কর্মচারী মালেক তাঁর সঙ্গে নেই। এই সময় কর্মচারী মালেকের মুঠোফোনটিও বন্ধ পান তিনি। ওই দিন বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মালেক ফোন করে জসিমকে জানান, পাঁচ-ছয়জন ডাকাত তাঁকে কাপ্তানবাজার থেকে জোর করে ধরে পাশের ঠাঁটারীবাজার স্টার হোটেলের গলিতে নিয়ে মারধর করে তাঁর কাছ থেকে গলিত সোনা নিয়ে গেছে। পরদিন স্বর্ণকার মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় ডাকাতির মামলা করেন।

ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুনশি আজ সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, এজাহারের আসামিরা অজ্ঞাতনামা। তা ছাড়া পুলিশের হাতে ডাকাতির কোনো সূত্রও ছিল না। পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের ১৩০টি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে মোক্তার হোসেন ও সাদেক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে সহযোগী নাসিমা বেগম ও মোছা. কাজলকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোনা ডাকাতির পর নাসিমার স্বামী তার কাছে ৫০০ গ্রাম সোনা রাখতে দিয়েছিলেন। পুলিশ সেগুলো নাসিমা ও তাঁর বাসার খাটের নিচ থেকে জব্দ করে। নাসিমার স্বামীসহ অন্য ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পুলিশ কর্মকর্তা জানে আলম বলেন, ডাকাতি করা সোনার দাম প্রায় ৪৫ লাখ টাকা। গ্রেপ্তার দুই নারী বাদে মোক্তার ও সাদেকসহ অন্যরা পরিবহনশ্রমিক।