লাল চাঁদ হত্যা মামলায় আরও এক আসামির স্বীকারোক্তি
রাজধানীর মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনের সড়কে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আরও এক আসামি জবানবন্দি দিয়েছেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ রোববার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি মাহমুদুল হাসান ওরফে মহিন।
এ হত্যা মামলায় এর আগে গত বৃহস্পতিবার তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁরা হলেন টিটন গাজী, আলমগীর ও মনির ওরফে ছোট মনির।
জবানবন্দি সম্পর্কে অবগত সূত্রগুলো বলেছে, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। জবানবন্দিতে লাল চাঁদ হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন মাহমুদুল হাসান। লাল চাঁদের সঙ্গে তাঁর ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিতভাবে লাল চাঁদকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গত বুধবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, পল্লী বিদ্যুতের চোরাই তার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা ও খুন হওয়া লাল চাঁদ পূর্বপরিচিত ছিলেন।
শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে মহিন ও পাশের এলাকা থেকে রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাথর নিক্ষেপকারী দুজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে লাল চাঁদকে হত্যা করেন একদল লোক। পিটিয়ে ও ইট–পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে তাঁর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাঁকে বিবস্ত্র করা হয়। তাঁর শরীরের ওপর উঠে ঘাতকদের লাফাতেও দেখা গেছে।
এ হত্যার ঘটনায় পরদিন রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন রেজওয়ান উদ্দিন, মো. নান্নু কাজী, সজীব ব্যাপারী, রাজীব ব্যাপারী, টিটন গাজী, মাহমুদুল হাসান, তারেক রহমান রবিন, আলমগীর ও মনির ওরফে ছোট মনির। এরই মধ্যে আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।