চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যায় ৩৮ জনের মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৫ জন

সোহেল চৌধুরী
ফাইল ছবি

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে দুজনকে বৈরী সাক্ষী ঘোষণা করা হয়েছে।
বৈরী সাক্ষী দুজন হলেন বনানীর ট্রামস ক্লাবের ব্যবস্থাপক মেজর (অব.) এনামুল হাফিজ খান এবং রওশন আরা আক্তার। আলোচিত এই খুনের মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২–এ বিচারাধীন। গত রোববার আদালত ২৬ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন দিন ঠিক করেছেন।

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী খুন হওয়ার প্রায় ২৪ বছর পর এই হত্যা মামলায় গত বছরের ২৮ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সেদিন আদালতে সোহেলের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছেন।

সাক্ষ্যগ্রহণের ধীরগতির বিষয় জানতে চাইলে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষী আদালতে হাজির করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। কোনো কোনো সাক্ষী আবার আদালতে সঠিক সাক্ষ্য দিচ্ছেন না। তারপরও মামলা প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

মামলার বৈরী সাক্ষী ট্রামস ক্লাবের ব্যবস্থাপক এনামুল হাফিজ বলেন, সোহেল চৌধুরী খুনের বিষয় বিস্তারিত তথ্য তাঁর জানা নেই। তবে সোহেল চৌধুরী কয়েকবার ট্রামস ক্লাবে এসেছিলেন। তাঁর সামনে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। তখন সোহেল চৌধুরীকে তিনি চলে যেতে বলেন।

এ মামলায় কারাগারে আছেন আসামি আশীষ রায় চৌধুরী, সানজিদুল ইসলাম ইমন ও তারিক সাঈদ মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়। আর জামিনে আছেন আসামি ফারুক আব্বাসী। পলাতক আছেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই ও সেলিম খান। তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

১৭ বছর আগে ঢাকা মহানগরের পিপি দপ্তর থেকে সোহেল হত্যা মামলার তদন্তের নথিপত্র কেস ডকেট (সিডি) নিয়ে যান পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাঁর সন্ধান মেলে। তিনি আগেই অবসরে গেছেন। তবে হত্যা মামলার সিডি আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাদিয়া আফরিন।  

আরও পড়ুন

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে বনানীর ট্রামস ক্লাবের নিচে সোহেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সোহেল হত্যার ঘটনায় তাঁর ভাই তৌহিদুল রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই আদালতে  অভিযোগপত্র দেয়।

মামলায় ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ অভিযোগ গঠন করেন।

আরও পড়ুন

অভিযোগ গঠনের পর আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।

রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুল ডিসচার্জ (খারিজ) করেন। আগে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রায় দেন।