হাদির ওপর হামলা: সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে লোক পারাপারে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক
শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী এলাকার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে লোক পারাপারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) এস এন নজরুল ইসলাম।
রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২৪ মিনিটে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করা হয়। পেছন থেকে অনুসরণ করে আসা একটি মোটরসাইকেল থেকে এক ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন।
এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ‘শুটার’ ফয়সাল করিম মাসুদ ও মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখকে শনাক্ত করা হয়েছে।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, ইমিগ্রেশন ডেটাবেজ চেক করে এখন পর্যন্ত তাঁদের দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ফয়সালের পাসপোর্ট নম্বর পাওয়া গেছে। তাঁর সর্বশেষ ভ্রমণ তথ্য অনুযায়ী সম্ভবত গত জুলাই মাসে তিনি থাইল্যান্ড থেকে ফেরেন। এরপর ইমিগ্রেশন ডেটাবেজে আর তাঁর বহির্গমনের কোনো তথ্য নেই।
গতকাল রাত থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ কাজ করছে। তবে নগরবাসীরও দায়িত্ব রয়েছে। কেউ তাঁর আশপাশে কোনো দুষ্কৃতকারীকে দেখলে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধা এক হাদি না, হাজারো লক্ষ জুলাই যোদ্ধা আছে। এই লক্ষ জুলাই যোদ্ধার ইনডিভিজ্যুয়াল সিকিউরিটি (প্রত্যেককে আলাদা করে নিরাপত্তা) নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব। তবে সার্বিক সিচুয়েশনটাকে (পরিস্থিতি) আমার সিকিউর (সুরক্ষিত) করতে হবে। রাষ্ট্রকে সিকিউর করতে হবে। রাজধানীকে সিকিউর করতে হবে। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। যাদের স্পেসিফিক (সুনির্দিষ্ট) এই ধরনের সিকিউরিটি থ্রেট (নিরাপত্তা–হুমকি) আছে, তাদেরটা নিয়ে আমরা অ্যানালাইসিস (বিশ্লেষণ) করছি। যাদের ক্ষেত্রে আমরা খুব হাই থ্রেট মনে করতেছি, তাদেরকে আমরা পারসোনাল (ব্যক্তিগত) সিকিউরিটি দেব।’