আলিনার মরদেহের খণ্ডিত আরও অংশ খুঁজছে পিবিআই

পাঁচ বছর বয়সী শিশু আলিনা ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে অপহরণের পর খুন হওয়া শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতের মরদেহের আরও খণ্ডিত অংশের খোঁজ করছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত নগরের বন্দরটিলা আকমল আলী ঘাটসংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই। তবে পিবিআই এখনো কিছু পায়নি।

গতকাল শিশু আলিনার খণ্ডিত মাথা ও দুটি পা উদ্ধার করা হয়।  গতকাল রাতে জানাজা শেষে দাফন করা হয় আলিনাকে।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, পিবিআইয়ের ৩৫ জনের একটি দল বিভিন্নভাবে ভাগ হয়ে তল্লাশি অভিযান চালায়। আসামি আবিরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান করা হয়। ভাটা থাকায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তল্লাশি করেও কিছু মেলেনি।

আরও পড়ুন

গত ১৫ নভেম্বর নিখোঁজ হয় আলিনা। নিখোঁজের ১০ দিন পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, পাঁচ বছরের শিশু আলিনাকে হত্যা করে ছয় টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

নগরের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকায় আলিনাদের বাসা। তার বাবা সোহেল রানা। তিনি স্থানীয় একটি মুদিদোকানের মালিক। বাসার পাশের একটি মক্তবে পড়তে যাওয়ার সময় আলিনাকে অপহরণ করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন

পুলিশ বলছে, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আলিনাকে অপহরণ করেছিলেন তাদের বাসার ভাড়াটিয়া আবির মিয়া (১৯)। আবিরের বাবা ভ্যানচালক আজহারুল ইসলাম। তাঁরা আলিনাদের বাসায় ভাড়া থাকেন। ২৫ নভেম্বর আবিরকে গ্রেপ্তারের পর তিনি খুনের কথা স্বীকার করেন বলেছে পুলিশ।

পিবিআই বলছে, ছয় থেকে সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করার পরিকল্পনা ছিল আবিরের। অপহরণের পর শিশুটি চিৎকার করলে তাকে গলা টিপে হত্যা করে আবির। পরে তার লাশ ছয় টুকরা করে ফেলে দেন তিনি।