নির্বাচনে পুলিশের চ্যালেঞ্জ সক্ষমতা অর্জন ও ফ্যাসিস্টদের মোকাবিলা: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা অর্জন ও ফ্যাসিস্টদের মোকাবিলা করা।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব ইন্টেগ্রিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের পর পুলিশ যে ভঙ্গুর অবস্থায় চলে গিয়েছিল, সেখান থেকে বর্তমান অবস্থানে নিয়ে আসাটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা চাই, অন্তত নির্বাচনের সময়ে নিরপেক্ষ আর উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করতে। আমাদের যে সক্ষমতা রয়েছে, তা দিয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাতে পারব বলে বিশ্বাস করি। এ চ্যালেঞ্জগুলো নিয়েই সামনে এগোব, সফল হব।’
নির্বাচনে কোনো শক্তি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে বাহারুল আলম বলেন, ‘সেটা আমি এখন বলতে পারব না। এখানে অনেক লোক, দল ও গোষ্ঠী রয়েছে। যারা পরাজিত ফ্যাসিস্ট, তারা অবশ্যই একটি দল। এ দলের সদস্য ও সমর্থকেরা স্বাভাবিকভাবেই একটি বিরোধী শক্তি।’
দুর্গাপূজার নিরাপত্তা সম্পর্কে আইজিপি বলেন, সারা দেশে ৩১ হাজার ৬৫০টি পূজামণ্ডপ রয়েছে। সব কটি মণ্ডপকে সমান গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ। দেশের বিভিন্ন এলাকার ৪৯টি পূজামণ্ডপে নানা ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১৫টি মামলা হয়েছে। ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশের আইজিপি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারপরও একটি গোষ্ঠী বিষয়টিকে ইস্যু করার চেষ্টা করছে।
জুলাই আন্দোলনের মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে পুলিশপ্রধান বলেন, ১ হাজার ৭৬০ একটি মামলার মধ্যে ৫৫টি মামলায় পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি হত্যা মামলা। অন্য মামলা ৩৭টি। বাকিগুলোর তদন্ত চলছে।
বাহারুল আলম বলেন, ৫৫টি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দিতে এক বছর লেগেছে। বাকিগুলোর তদন্ত কবে নাগাদ শেষ হবে, সেটা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।