তেলের ভুয়া খরচ দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের ফটকফাইল ছবি প্রথম আলো

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) গাড়ির জ্বালানির ভুয়া খরচ দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার দুপুরের দিকে দুদকের সহকারী পরিচালক ইকরাম হোসেনের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি দল প্রায় চার ঘণ্টা ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে অভিযান চালায়।

অভিযানে নথিপত্র জব্দ করা হয়। গাড়িচালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদক সূত্র বলছে, জব্দ করা নথি ও গাড়িচালকদের জিজ্ঞাসাবাদে গাড়ির জ্বালানি বিলে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। গাড়িচালক থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যন্ত এই দুর্নীতিতে জড়িত।

জানতে চাইলে দুদকের সহকারী পরিচালক ইকরাম হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘নগর ভবন ৪০ দিন বন্ধ, তবু কোটি টাকার তেল খরচ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়। এখন অভিযান চালিয়ে এই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা খুঁজে পাওয়া গেছে। তাঁরা এখন কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেবেন। কমিশন পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

দুদকের অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুদক অভিযান চালিয়ে অনেকগুলো নথি নিয়ে গেছে।’

আরও পড়ুন

৪ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোর প্রিন্ট সংস্করণে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের কারণে ৪০ দিন নগর ভবনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কর্মকর্তাদের অনেকে তখন এক দিনও অফিসে আসেননি। অথচ তাঁদের জন্য বরাদ্দ করা গাড়ির বিপরীতে প্রতিদিন ১৪-১৫ লিটার তেল খরচ দেখিয়েছেন। দক্ষিণ সিটিরই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, অফিস বন্ধ থাকার পরও এই তেল গেল কোথায়?

আরও পড়ুন