বিকাশ ও সরকারি কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, চক্রের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার
কখনো বিকাশের (মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান) কর্মকর্তা, কখনো সরকারি কর্মকর্তা সেজে অর্থ আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে একটি প্রতারক চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিআইডি জানায়, এই চক্রের সদস্যরা একটি অ্যাপসের মাধ্যমে মুঠোফোন নম্বর ‘ক্লোন’ করে বিকাশ কর্মকর্তা সেজে এজেন্টদের কল করেন। বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে চক্রের সদস্যরা বিকাশ এজেন্টকে জানান, তাঁর নম্বরটিতে লেনদেন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আবার কখনো বিভিন্ন ‘ছাড়ের’ কথা বলে প্রলোভন দেখানো হয়। এরপর মুঠোফোনে পাঠানো ‘ওটিপি’ কৌশলে সংগ্রহ করে এজেন্টের বিকাশ আইডির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেন।
এমন কৌশলে এক বিকাশ এজেন্টের ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গত বছরের আগস্টে রাজধানীর লালবাগ থানায় একটি মামলা হয়। সেই ঘটনায় এই চক্রের জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার সাতজনের মধ্যে চারজনকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁরা হলেন মোস্তাক হাওলাদার (৩০), আবদুল হালিম ফরাজি (২২), মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার (২৯) ও সুজন শেখ (২২)।
সরকারি কর্মকর্তা সেজে যেভাবে প্রতারণা
প্রথমে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের আর্থিক অনুদানপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের নামের তালিকা ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে। এরপর সরকারি কর্মকর্তা সেজে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানানো হয়, অনুদানের টাকা এটিএম কার্ডে পাঠানো হবে। কোনো এটিএম কার্ড থাকলে নম্বর তাঁদের কাছে পাঠাতে বলা হয়। অনেকেই কিছু না বুঝে এটিএম কার্ডের নম্বর তাঁদের দিয়ে দেন। একপর্যায়ে ওটিপি পাঠিয়ে কৌশলে সেটি জেনে ব্যাংক হিসাবের নিয়ন্ত্রণ নিতেন তাঁরা।
এমন একটি ঘটনায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন চক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় গত বছরের জুলাই মাসে রাজধানীর রামপুরা থানায় একটি মামলা হয়। এ মামলায় চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁরা হলেন হৃদয় মাতুব্বর ওরফে হেলাল মাতুব্বর (২৪), তুহিন সরদার (২৫) ও সজীব আকাশ (২১)।