ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গি কোথায়, অন্ধকারে পুলিশ

পুরান ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে মোটরসাইকেলে (তিনজন বসা পেছনের মোটরসাইকেল) করে তাঁদের সহযোগীরা পালিয়ে যাচ্ছেন বলে ধারণা তদন্ত সংশ্লিষ্টদের
ছবি: সংগৃহীত

আদালত ফটকের সামনে থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার সাত দিনেও তাঁদের গ্রেপ্তার বা অবস্থান শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এমনকি তাঁরা ঢাকায় আছেন নাকি ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন, এ বিষয়েও নিশ্চিত হতে পারেনি মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

সিটিটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সরাসরি অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য মেহেদী হাসান ওরফে রাফি ওরফে অমিকে রিমান্ডে এনেও দুই জঙ্গির অবস্থানের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির (বামে) ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব
ছবি: সংগৃহীত

আনসার আল ইসলাম ‘কাট আউট’ (একই কাজে যুক্ত এক দলের তথ্য অন্য দল জানে না) পদ্ধতিতে কাজ করার কারণে মেহেদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনো তথ্য জানা সম্ভব হয়নি। জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অংশ নেওয়া আরও সাতজনকে চিহ্নিত করা গেলেও তাঁদের অবস্থানের বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সিটিটিসির উপকমিশনার এস এম নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, মামলার তদন্ত চলমান। বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তাঁরা কাজ করছেন।

২০ নভেম্বর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটকে পুলিশকে মারধর ও চোখে পিপার স্প্রে করে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়ে যান জঙ্গিরা। তাঁরা হলেন মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এ ছাড়া আরও কয়েকটি হত্যা মামলারও আসামি তাঁরা।