রাজধানীতে ঘুমন্ত স্বামীকে বঁটি দিয়ে হত্যার পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন

লাশ
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর রায়েরবাজার এলাকায় এক রিকশাচালককে গলা কেটে-কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

খুন হওয়া রিকশাচালকের নাম শামীম মিয়া (৪০)। পুলিশ বলছে, আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে শামীমের স্ত্রী বানু বেগম (৩০) জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন দেন। তিনি তাঁর স্বামীকে হত্যা করার কথা জানিয়ে আত্মসমর্পণ করতে চান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। বানু বেগমকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, শামীম ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী বানু বেগম রায়েরবাজারের ক্যানসার গলিতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। দুজনেরই গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা এলাকায়।

মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার প্রথম আলোকে বলেন, ভোররাত চারটার দিকে বানু বেগম ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ রায়েরবাজারের বাসাটি যায়। বাসায় শামীমকে গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপের চিহ্ন দেখা যায়।

এসআই আবুল বাশার বলেন, আটক করে থানায় এনে বানু বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি বলেছেন, এক মাস আগে শামীমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাঁরা রায়েরবাজারের ভাড়া বাসায় ওঠেন। শামীমের প্রথম স্ত্রী আছে। সেই ঘরে তাঁর তিন সন্তান আছে। শামীমের প্রথম স্ত্রী ও সন্তানেরা অন্যত্র থাকে। শামীম তাঁর প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে বেশি সময় থাকতেন। এ কারণে তিনি (বানু বেগম) ক্ষুব্ধ হয়ে শামীমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। শামীম গতকাল রাতে বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়েন। দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় শামীমকে বঁটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন তিনি। শামীমের শরীরে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, শামীমের শরীরে ২৫টি কোপের চিহ্ন দেখা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি বঁটি জব্দ করা হয়েছে।

ময়নাতদন্তের জন্য শামীমের লাশ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।